
এস,এম,আলাউদ্দিন সোহাগ,পাইকগাছা ( খুলনা)
নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের প্রবণতা তত বাড়ছে। এদের আসলে কারা জানিনা। তবে যেকোন উপায়ে হোক এদের প্রতিহত করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এবং প্রয়োজনে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
সম্প্রতি ” খুলনা বিএনপি ” নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে বিএনপির জেলা, উপজেলা ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ কে জড়িয়ে কটাক্ষ ও বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিয়ে দলীয় নেতাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার প্রতিবাদের অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে এমন আহবান জানান ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ সভাপতি, পাইকগাছা কয়রা নাগরিক ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম রফিক। তিনি কপিলমুনির কাছিমুছাস্থ নিজ বাসভবনে জরুরি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম বলেন ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কমবেশি ভূমিকা রয়েছে। এজন্য কাউকে খাটো কিংবা ছোট করা যাবে। প্রত্যেকের প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঠিক এর উল্টো টা। কিছু কতিপয় দুষ্কৃতকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দলীয় শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এরা কাউকে প্রশংসা আবার কাউকে কটাক্ষ করছে। এরা আসলেই সকলের জন্য ক্ষতিকর। তিনি বলেন আমি খুলনা-৬ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী একজন প্রার্থী। তার মানে এই নয় কাউকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে হবে। আমরা সবাই বিএনপির লোক, দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই আমরা নির্বাচন করবো। সেক্ষেত্রে বহিরাগত কাউকে সমর্থন করা হবে না হুশিয়ারী দিয়ে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী রফিকুল ইসলাম বলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ যাতে অপপ্রচার করতে না পারে এ ব্যাপারে আমাদের সবাই কে সতর্ক থাকতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি থানায় জিডি করা সহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম বলেন আমি অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতে ও নির্বাচনী এলাকা পাইকগাছা কয়রার উন্নয়ন এবং এখানকার মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো। এসময় অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট দীপঙ্কর কুমার সাহা ও অ্যাডভোকেট সরোয়ার মাহবুব সহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।