
এস,এম,আলাউদ্দিন সোহাগ,পাইকগাছা ( খুলনা)
অবশেষে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে যাচ্ছে পাইকগাছার সর্ববৃহৎ চাঁদখালী ইউনিয়নের ২৬ গ্রামের ৮০ হাজার মানুষ।
শুক্রবার সকালে ইউনিয়নের পানি সরবরাহ সরকারি খালের ৩ টি স্লুইচ গেটের (বহিরাংশ) খাল খনন কাজের উদ্বোধনের পর এমন স্বপ্ন দেখছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খনন কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও খুলনা -৬ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডাঃ আব্দুল মজিদ। এসময় তিনি বলেন তারেক রহমানের নির্দেশনায় পাইকগাছা বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে জনকল্যাণ মূলক কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন খনন কাজ শেষ হলে চাঁদখালী ইউনিয়নের ৮০ হাজার মানুষ জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হবে, কিন্তু খননকাজ টেকসই এবং জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের জন্য কপোতাক্ষ নদের নাব্যতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নাই। এছাড়া পানি সরবরাহের সকল সরকারি খাল জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উম্মুক্ত করতে হবে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ সহ সরকারের প্রতি আহবান জানান। একাজে সহযোগিতার জন্য তিনি জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের সর্ববৃহৎ ইউনিয়ন হচ্ছে চাঁদখালী ইউনিয়ন।
এ ইউনিয়নে বর্তমানে ৮০ হাজার মানুষ বসবাস করছে।জলাবদ্ধতার কারণে বিগত ১৫ বছর ধরে চরম দুর্ভোগে এ ইউনিয়নের মানুষ। কপোতাক্ষ নদ ভরাট হওয়ার সাথে সাথে ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি স্লুইচ গেটের খালের নদীর অংশ পলি জমে ভরাট হয়ে যায়। আর এ কারণে অচল হয়ে পড়ে চাঁদখালী, চক বিষ্ণুপুর ও ফতেপুর সহ ৩ টি স্লুইচ গেট। গেট গুলো দিয়ে পানি সরানোর ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম আসলেই পানি বন্দী হয়ে পড়ে ২৬ গ্রামের ৮০ হাজার মানুষ। এর ফলে প্রতিবছর ক্ষতিগ্রস্ত হয় কোটি কোটি টাকার কৃষি ফসল ও মৎস্য সম্পদ।
এদিকে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে এলাকার মানুষ কে মুক্ত করতে অবশেষে বাসস চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদ্বীন, খুলনা জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডাঃ আব্দুল মজিদ এবং সাবেক ছাত্র নেতা নাজমুল হুদা মিন্টুর সহযোগিতায় জরুরি ভিত্তিতে ৩ টি স্লুইচ গেটের বহিরাংশ খাল খনন কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর আওতায় চাঁদখালী গেটের ২১১ মিটার, চক বিষ্ণুপুর গেটের ১৩৫ মিটার এবং ফতেপুর গেটের ২১০ মিটার খাল খনন করে কপোতাক্ষ নদের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ৩ টি খালের সরাসরি পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
আর এটা হলে ১৫ বছরের জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হবে চাঁদখালী ইউনিয়নের ২৬ গ্রামের ৮০ হাজার মানুষ। খাল খনন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি আবু তাহের গাজী, বিএনপি নেতা তুষার কান্তি মন্ডল, আসাদুজ্জামান ময়না, আসাদুজ্জামান খোকন, অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন সুমন, মাষ্টার বাবর আলী গোলদার, আবু মুছা সরদার, আবু হুরায়রা বাদশা, শহিদুর রহমান, নাজমুল হুদা মিন্টু, মিজানুর রহমান কিনা, কুদ্দুস, হান্নান, মনিরুল, শুকুর, সাঈদুল, সালেক, দাউদ সরদার, মহিরুদ্দীন, নবদ্বীপ ও আহসান হাবীব সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।