খুলনা অফিস :
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সাথে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ হাসপতারের সামনের ওষুধের দোকান বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে রোগী স্বজনার এন্টার্নী চিকিৎসকদের কর্মবিরতীতে প্রভাব পড়েনি চিকিৎসা সেবায় খুলনা প্রতিনিধি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সাথে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের পর থেকে দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করছে। ঘটনার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ এবং ইন্টার্নী চিকিৎসকরা কর্মবিরতী পালন করছে। দোকান বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হাসপাতালে ভর্তি রোগী স্বজনরা।
গত সোমবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী এবং সামনের ওষুধ ব্যবসায়ীদের সাথে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় সব উভয় পক্ষের মোট ১৫থেকে ২০জন কম বেশী আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর দোষী শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে ্ওষুধ ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখেছে। এদিকে দোকান বন্ধ রাখায় ভোগান্তিতে পড়েছে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও রোগীর স্বজনরা। এ ব্যাপারে কথা হয় মোল্লাহাটের মোঃ সেলিমের সাথে। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে তার ভাইকে ভর্তি করিয়েছেন।
হাসপাতালের সামনে দোকান বন্ধ থাকায় বয়রা থেকে ওষুধ কিনতে হয়েছে। বটিয়াঘাটা থেকে এসেছেন স্ত্রীকে নিয়ে সোমবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন মোঃ রব হোসেন। হাসপাতালের সামনে দোকান বন্ধ থাকায় তিনি হেরাজ মার্কেট থেকে ওষুধ কিনে আনেছেন। এজন্য তার টাকা বেশী খরচ হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কেমিষ্টস্ এন্ড ড্রাগিষ্টস্ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক ও খুলনা জেলা শাখার সদস্য মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন এ ঘটনায় দোষী ওষূধ ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের দাবিতে এর পাশপাশি নিরাপত্তাহীনতা কারণেও ব্যবসায়ীরা দোকান খুলছে না। ব্যবসায়ীরা শঙ্কায় রয়েছে আবারো শিক্ষার্থীরা দোকানে হামলা চালাতে পারে।
খুমেক হাসপাতাল ইন্টার্ণ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা: সাইফুল ইসলাম অন্তর বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার থেকে কর্মবিরতী ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ১৫ মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবসের কারণে কর্মসূচি কিছুটা শিথিল ছিল। আজ বুধবার সকাল থেকে কর্মসুচি পালন হচ্ছে। তবে সকাল ৮টায় হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে কর্মবিরতীর কারণে চিকিৎসা সেবায় কোন বিরুপ প্রভাব পড়েনি। এ ব্যাপারে ভর্তি রোগী মোঃ আসলামের সাথে। রাতে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তির পর পরই চিকিৎসকরা দেখেচেন বলে তিনি জানান। অপরদিকে রাতে ভর্তি হয়েছেন জাহাঙ্গীর হোসেন। তাকেও চিকিৎসকরা দেখেছেন বলে জানান।
হাসপাতালের পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, চিকিৎসা কার্যক্রম কোন সমস্যা হচ্ছে না , স্বাভাবিক রয়েছে। উল্লেখ গত সোমবার রাতে মেডিকেলের এক শিক্ষার্থী সামনে বিপ্লব মেডিসিন কর্নারে যায় ওষুধ কিনতে। ৭০ টাকার ওষুধ কিনে ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৭টাকা কমিশন কম না রাখায় শিক্ষার্থীর সাথে ব্যবসায়ীর বাকবিন্ডতা হয়। তারই জের ধরে এই সংঘর্ষ। এদিকে সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমতাজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোন পক্ষই মামলা করেনি।