পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :
খুলনার পাইকগাছা পৌরসদরে শিশু পার্কের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন সরকারী জমি দখলের প্রতিযোগিতা। ইতোমধ্যে ৮/১০টি ঘর নির্মাণ করে সেখানে টি- ষ্টল বানানো হয়েছে। পৌর সদরের মধুমিতা পার্কের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৩০টি পাকা স্থাপনা (দোকানঘর) উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভেঙে দেয়ার মাস খানিক পর এ দৃশ্য দেখে হতবাক ও বিস্মিত সচেতনমহল।
সরেজমিনে দেখা গেছে,পাইকগাছা
পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডস্থ বাতিখালী আবাসিক এলাকায় যাতায়াতের ঢালাই রাস্তার ডান পাশে রয়েছে শিশু পার্কের সীমানা প্রাচীর এবং বাম পাশে আদালতের সীমানা। শিশু পার্কের সীমানা প্রাচীরের গা ঘেঁষে সরকারী জায়গায় সারিবদ্ধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ৮/১০টি দোকান ঘর।
দোকান ঘরের পরে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে যাত্রীবাহী বেশকিছু ইজিবাইক। ওই রাস্তার পাশেই রয়েছে পৌরসভার একটি ডাস্টবিন। অবৈধ দখলকারীরা ডাস্টবিনেরও মুখ বন্ধ করে মাটি-বালি ফেলে ঘেরা-বেড়া দিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করেছে। ফলে আশপাশের গৃহস্থালিরা এখন আর ওই ডাস্টবিনটি ব্যবহার করতে পারছেন না।
পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল আহম্মেদ সেলিম নেওয়াজ বলেন, আমি বহুবার নিষেধ করেছি কিন্তু অবৈধ দখলকারীরা আমার কথা শোনেনি। পৌরসভার ডাস্টবিন পর্যন্ত তারা দখল করে নিয়েছে। বিশিষ্ট আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী এড. এফ, এম,এ রাজ্জাক জানান, সমস্যাটি দীর্ঘ দিনের তবে উপজেলা ও পৌর প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে কার্যকারী ব্যবস্থা না নিয়ে নিরব রয়েছে। তাছাড়া অনেকেই বলছেন এসব দেখার কেউ নেই?
স্হানীয় বাসিন্দারা জানান, কোর্ট রাস্তা সংলগ্ন রয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস, পৌরসভার কেন্দ্রীয় বাতিখালী হরিতলা সার্বজনীন পূজা মন্দির, পৃথক তিনটি আদালত, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ শিশু বিদ্যালয় ও শিশুপার্ক, পাবলিক লাইব্রেরী, কেন্দ্রীয় সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা, বেসরকারী একটি ক্লিনিকসহ রয়েছে বৃহৎ আবাসিক এলাকা। কোর্ট রাস্তাটি মূলত শিবসা ব্রীজের সংযোগ সড়কে গিয়ে মিশেছে। সঙ্গত কারণে কোর্ট রাস্তা দিয়ে জনসাধারণ ও বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের চলাচল তুলনামূলক অনেক বেশি। সর্বোপরি ব্যস্ততম এ সড়কের উপর থেকে অবৈধ সকল স্থাপনা ও যানবাহন অপসারনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পৌরবাসীসহ সচেতনমহল।