কয়রা প্রতিনিধি
খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের ঘুগরাকাটি গ্রামের মোঃ রবিউল ইসলাম মোড়ল পিতা মৃত আমীর আলী মোড়ল গত ইং ১৮-১১-২৪ তারিখে কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করায় তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন একই গ্রামের মোঃ আঃ রশিদ গাজী পিতা মৃত এরমান আলী গাজী। লিখিত প্রতিবাদে তিনি জানান,
আমি মোঃ আঃ রশিদ গাজী পিতা মৃত এরমান আলী গাজী গ্রাম+ডাকঘর ঘুগরাকাটি উপজেলা কয়রা জেলা খুলনা আমার একই গ্রামের মোঃ রবিউল ইসলাম মোড়ল পিতা মৃত আমীর আলী মোড়ল গত ইং ১৮-১১-২৪ রোজ সোমবার কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে লিখিত সাংবাদিক সম্মেলন করেন । এই সংবাদ সম্মেলনের নিউজ বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । তিনি যেসব তথ্য দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে তা মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন আমি প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই। মোঃ রবিউল ইসলাম সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করেন যে, আমি রবিউল ইসলামের কাছ থেকে ০২/০৯/২০০৪ ও ২০/০৯/২০০৪ তারিখে ৯০ হাজার টাকা নিয়ে আমার স্বত্ব দখলীয় ঘুগরাকাটি বাজারের দোকান ও জমিটি বিক্রয় করি । মুলত আমি রবিউল ইসলাম এর কাছে ০২/০৯/২০০৪ তারিখে (১০০+৫০) ১৫০ টাকার ২টি নন জুডিশিয়াল ফাঁকা ষ্ট্রাম্পে সহি স্বাক্ষর দিয়া ৭০ হাজার গ্রহণ করে ঘুগরাকাটি মৌজার মিরে পাড়ায় ২ বিঘা জমি বন্ধক রাখি এটা নিয়ে মামলা চলমান আছে। সে তিনটা ষ্ট্রাম্পে আমার টিপ ও স্বাক্ষর নকল ও জালিয়াতি করে দশ দলিল তৈরী করে। সে সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করেন আমার নাকি ঘুগরাকাটি বাজারে ঘুগরাকাটি মৌজার এস এ খতিয়ান নং ৯৯, এস এ দাগ নং ৮৯,৯০। ডিপি নং ২৬৯,হাল দাগ নং ৩৮৭, ৩৮৮ জমির পরিমাণ হাফ শতক জমি এখানে আমার জমি নেই এই জমি আমার পিতার নামে খতিয়ান রয়েছে আমি আমার পিতার একমাত্র সন্তান এবং আমার নামে হাল ডিপি নং ২৬৯। সে দাবী করে আমার ওয়ারেশগনের কাছ থেকে ২৮/১২/২০২১ তারিখে ২৪৮৬/২১ নং হেবাবিল এওয়াজ নামা দলিলে রেজিষ্টি করে নিছে যার কাছ থেকে সে দলিল করে নিছে সে আবার দলিল করার ৯ দিন পর এটার বিরুদ্ধে মামলা করেছে এবং তার দখল বুঝ করে দেয়নি যার কাছ থেকে সে দলিল করে নিছে সে আমার চাচাত ভাই হয়।
রবিউল ইসলাম বলেন জলিল গাজী নামের এক ব্যবসায়ীর নিকট নাকি সে দোকানটি ভাড়া দেয় এটা মিথ্যা কথা । আমি বরং জলিল গাজীর ভাই খায়রুল ইসলামের কাছে নন জুডিশিয়াল ষ্ট্রাম্পে সহি স্বাক্ষর করে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ভাড়া দেয় সে ১২ বছর ব্যবসা করার পর বাইরে চলে যাওয়ায় তার দোকানের সব মালামাল আমার নিকট বিক্রি করে চলে যায় । আমার এই সম্পত্তি আমি ২০০০ সালে অগ্রনী ব্যাংকে মটগেজ দিয়ে সিসি লোনগ্রহণ করি এবং ১৯-১০-২০২২ তারিখে সমুদয় টাকা পরিশোদ করি। মোঃ রবিউল ইসলাম ১১-৩-২০২৪ তারিখ ভোরে আওয়ামীলীগের গুন্ডা বাহিনী নিয়ে আমার দোকানের তালা ভেংগে দোকানটি অবৈধভাবে দখল নিয়ে নেয়। এইটাকে সে ধামচাপা দেওয়া জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।