সম্প্রতি প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ঘোষণা করেছেন যে, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ওমানের ভিসা পাওয়া বাংলাদেশিরা ওমান ভ্রমণে কোনো বাধা মুখে পড়বেন না। এই খবরটি ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে এবং এটি প্রকাশের পাঁচ ঘণ্টা আগের ঘটনা।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে ওমান সরকার শিগগিরই ভিসা স্থগিতের বিষয়টি তুলে নেবে। তিনি বলেন, "আমরা প্রতিশ্রুতি পেয়েছি তাদের কাছ থেকে। তারা খুব শিগগিরই এটা খুলে দেবেন। কিন্তু খোলার আগ পর্যন্ত (৩১ অক্টোবর পর্যন্ত) যারা ভিসা পেয়েছেন তারা যেতে পারবেন। তাতে কোনো অসুবিধা নেই। এটা চিরস্থায়ী না।" তিনি আরও উল্লেখ করেন যে দক্ষিণ এশিয়ার আরেকটি দেশের সাথেও এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যা পরবর্তীতে তুলে নেওয়া হয়।
এই ঘোষণাটি বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য একটি স্বস্তির বার্তা বহন করে আনছে, বিশেষ করে যারা কর্মসংস্থান, ব্যবসা বা পারিবারিক কারণে ওমান ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। এই সিদ্ধান্ত তাদের জন্য একটি সুখবর হিসেবে কাজ করবে এবং তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনায় একটি নিশ্চয়তা যোগাবে।
এই নতুন ঘোষণার ফলে ওমানে কর্মরত বা নতুন কর্মসূত্রে যাওয়ার ইচ্ছুক বাংলাদেশি কর্মীদের মধ্যে একটি আশার আলো জেগেছে। করোনা মহামারীর পর থেকে বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ ও কর্মসংস্থানের উপর নানা বিধিনিষেধ আরোপিত হয়েছিল, যা অনেক প্রবাসী কর্মীদের জীবনে অনিশ্চয়তা এনে দিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ওমান সরকারের এই সিদ্ধান্ত অনেকের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক খবর।
প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, ওমান সরকার নিশ্চিত করেছে যে ভিসা স্থগিতের এই প্রক্রিয়া অস্থায়ী এবং এটি শুধুমাত্র সাময়িক একটি ব্যবস্থা। তারা আশ্বাস দিয়েছেন যে অচিরেই সকল বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে এবং স্বাভাবিক ভিসা প্রক্রিয়া পুনরায় চালু হবে। এই খবর বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্যও একটি ইতিবাচক দিক, কারণ প্রবাসী আয় দেশের জন্য একটি বড় অবদান রাখে।
এদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওমানে যেতে ইচ্ছুক নাগরিকদের জন্য নিয়মিত আপডেট প্রদান করে যাচ্ছে এবং ভিসা প্রাপ্তিসহ অন্যান্য বিষয়ে সহায়তা করছে। প্রবাসী কর্মীদের সুরক্ষা এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম প্রাধান্য।
যারা ওমানে যাত্রার পরিকল্পনা করছেন, তাদের উচিত সর্বশেষ তথ্যের জন্য নিয়মিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এবং ওমানের দূতাবাসের নোটিশ অনুসরণ করা। এছাড়াও, ভ্রমণের আগে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধি সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সব প্রয়োজনীয় নথি সঙ্গে রাখা জরুরি।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ওমানের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে এবং দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক আদান-প্রদান আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।