ডেস্ক রিপোর্ট :
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যখন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারকে আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে পদত্যাগের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছে। এই খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতি রেজাউল করিম এক মহাসমাবেশে এই আল্টিমেটাম জানান। তিনি দাবি করেন যে, সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং নিবন্ধিত এবং প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
এই আল্টিমেটামের পাশাপাশি, তিনি কয়েকটি কর্মসূচির ঘোষণা করেন যা রাজনৈতিক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক কারণে কারারুদ্ধ বিএনপিসহ সব শীর্ষ নেতাদের মুক্তি এবং জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ।
সরকার যদি এই দাবি মেনে না নেয়, তাহলে আন্দোলনরত সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে আরও কঠোর ও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে মুফতি রেজাউল করিম জানিয়েছেন। তিনি জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অবৈধ সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর প্রতি সমর্থন জানানো হয়েছে।
এই ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো সরকারি মন্তব্য প্রকাশিত হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এই পরিস্থিতিকে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার একটি নতুন মোড় হিসেবে দেখছেন।
এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সামাজিক মাধ্যমেও নানা মতামত ও বিতর্কের ঝড় উঠেছে। জনগণের মধ্যে একদিকে যেমন সরকারের প্রতি অসন্তোষের কথা শোনা যাচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তির প্রতি আকাঙ্ক্ষাও প্রকাশ পাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে সবার দৃষ্টি এখন ১০ নভেম্বরের দিকে। সরকার এই আল্টিমেটামের প্রতি কী পদক্ষেপ নেয় এবং রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে তাদের কর্মসূচি পরিচালনা করে, তা নিয়ে সবার মনে প্রশ্ন রয়েছে।