দৈনিক বিডিনিউজ ডেস্ক ->>
অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল ঠেকাতে কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা করছে ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য। গত বছর সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ঘোষণা দেন,অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে কঠোর আইন করবেন তিনি।
প্রথম দেখায় মনে হতে পারে বিশালাকৃতির ড্রোন ক্যামেরা, তবে এটি কোনো ক্যামেরা নয়। সহজে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে আকাশ-ট্যাক্সি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই বাহন, নাম ‘ভোলোকপ্টার’। ভোলোকপ্টার উড়লে দেখা যায়না কোনো ধোয়া বা বিষাক্ত বাতাস। অন্য বিমানের তুলনায় ১৮ গুণ কম আওয়াজ করে এটি। জার্মানির ব্রুখজাল শহরে চলছে এই ভোলোকপ্টারের পরীক্ষা। সব ঠিকঠাক থাকলে বছরে ৫০টি ভোলোকপ্টার তৈরি করবে এই সংস্থা। খবর ডয়চে ভেলের। ভোলোকপ্টারের প্রধান টেস্ট পাইলট পল স্টোন জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারের তুলনায় অনেক সহজ এটি উড়ানো। পুরো ব্যবস্থাটাই ডিজিটাল রাখা হয়েছে যার ফলে এটি হেলিকপ্টারের মতো পরিচালনা করা জটিল নয়। সামনে এগোতে গেলে এটিতে থাকা স্টিকই যথেষ্ট। যেদিকে বাঁক নিতে চাইব, সেদিকে স্টিক ঘোরালেই হবে।
সংস্থাটির প্রধান ডার্ক হোকের আশা আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ এই আকাশ-ট্যাক্সিতে যাত্রী চাপানো যাবে। আসন্ন প্যারিস অলিম্পিকে অল্প দামে যাত্রীদের এই ট্যাক্সিতে উড়তে দেখতে চান তিনি। হোক বলেন, প্যারিসে আমাদের যাত্রা শুরু করে ২০২৪ সালে ইতালির রোমে যাবো তারপর পরের বছরে সিঙ্গাপুর। ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের দেখতে চাই। এরই মধ্যে জাপানের ওসাকায় ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে অংশগ্রহণ করতে চাই আমারা।
পরিবেশবান্ধব যানবাহনের চাহিদা বর্তমানে আকাশছোঁয়া। তবে এই জায়গায় ব্যতিক্রম সংস্থাটির প্রধান ডার্ক হোক। তিনি সাশ্রয়ী মূল্যে সবার কাছে এই বাহনটি পৌঁছে দিতে চান। উল্লেখ্য, সাধারণ বিমানের মতো ভোলোকপ্টারেও নিরাপত্তা সম্পর্কিত নিয়মগুলো প্রযোজ্য। তবে প্রস্তুতকারক সংস্থাটির দাবি, কপ্টারটি আকাশে কয়েক কোটি ঘন্টা চললেও মাত্র একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা থাকে। তবে পরিকল্পনা বড় হলেও ভোলোকপ্টারের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঠিক যেমনটি উঠেছে সৌদি আরবের ‘নিওম’ প্রকল্পে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ।