বিশেষ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সবসময়ই উত্তাল এবং প্রতিযোগিতামূলক। এই পরিস্থিতিতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্য আলোচনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, “চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে সরকার হটানো যায় না।” এই বক্তব্য দিয়ে তিনি বিএনপির বিরুদ্ধে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য সরাসরি সমালোচনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মতে, বিএনপি অবরোধের নামে বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে মানুষকে আহত করছে, যা কেবল তাদের সন্ত্রাসী মানসিকতারই প্রকাশ। এই হামলাগুলি পুলিশ এবং সাংবাদিকদের ওপরও চালানো হয়েছে, যা গণতন্ত্রের মূল নীতির পরিপন্থী। তিনি বিএনপির এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে দীর্ঘমেয়াদী সন্ত্রাসী কার্যক্রম হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন যে, বিএনপি পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ করে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দিয়েছে, যা একটি অমানবিক কর্ম। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “কেউ কি হাসপাতালে আক্রমণ করে?” এই ধরনের কর্মকাণ্ড কেবল সন্ত্রাস ও অস্থিরতা ছড়ায়।
জনসভায় তারেক জিয়ার চামচাদের বিরুদ্ধেও তিনি কঠোর মন্তব্য করেন। তিনি জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যদি কেউ বাসে আগুন দিতে যায়, তাকে ধরে সেই আগুনে ফেলে দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। এই বক্তব্য দিয়ে তিনি জনগণকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সজাগ ও সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটি জটিল দিক তুলে ধরে। এটি দেশের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রতিফলন। তার এই বক্তব্য সম্ভবত রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে আরও বেশি সংলাপ এবং সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।