পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কোন প্রভাব পড়েনি পাইকগাছায়। জনজীবন ছিল স্বাভাবিক। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে ছিল পুলিশ। ফলে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এদিকে ঢাকার সমাবেশে যাওয়া এবং আসার সময় দলটির ১০ নেতা আটক হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম এনামুল হক।
উল্লেখ্য গত শনিবার বিএনপির ঢাকার সমাবেশ থেকে রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করে। অন্যান্যবারের ন্যায় এবারের হরতালে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি পাইকগাছার জনজীবনে। রোববার সকাল থেকে খুলনা-পাইকগাছা এবং পাইকগাছা-কয়রা রুটে বাস এবং যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায় স্বাভাবিক।
তবে যাত্রী সংকটের কারণে সকালে দুর পাল্লার কোন বাস ছাড়েনি বলে জানান লিটন পরিবহনের ম্যানেজার শাহজাহান কবির। অন্যদিকে প্রতিদিনের মতো ব্যাংক বীমা ও দোকান পাট সহ সকল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলোতে স্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করেছেন এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সজীব শেখ।
হরতাল প্রসঙ্গে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম এনামুল হক জানান হরতাল সফল করার জন্য যাদের উপর দায়িত্ব ছিল তারা বেশির ভাগ গ্রেফতার হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে হরতালে, এরপর ও হরিঢালী, কপিলমুনি, আগড়ঘাটা, চাদখালী সহ বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এনামুল হক বলেন ঢাকার সমাবেশে যাওয়ার পথে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেনজির আহমেদ লাল ও লতা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ইব্রাহিম গাজী এবং ঢাকা থেকে ফেরার পথে যশোর থেকে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন ডাবলু, থানা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কাজী সাজ্জাদ আহমেদ মানিক, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইউনুস মোল্লা, কপিলমুনি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনারুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, আব্দুর রহিম ও গুল কামাল সহ ৮ জন নেতা আটক হয়।
থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান হরতালে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়, গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে পুলিশ মোতায়েন সহ টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। হরতালে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবং জনজীবন স্বাভাবিক ছিল বলে দাবি করেন থানা পুলিশের এ কর্মকর্তা।