ঢাকা: বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে। এই নির্বাচনে প্রার্থীদের জন্য প্রচারের সময় বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ১৯ দিন। এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে প্রার্থীদের তাদের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন কঠোর নিয়মাবলী ও বিধিনিষেধ জারি করেছে যা প্রার্থীদের মেনে চলতে হবে। প্রচারের জন্য পোস্টার, ব্যানার, মাইকিং এবং অন্যান্য মাধ্যমের ব্যবহারে বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। পোস্টার ও ব্যানারের আকার ও ব্যবহারের উপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। প্রচারের সময় দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সীমিত করা হয়েছে।
প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন, ভোটারদের সাথে মিলনমেলা, অনুদান বা উপহার প্রদানের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া, সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের প্রচারে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষ বিধি মেনে চলতে হবে।
নির্বাচনী প্রচারের ব্যয় নির্ধারণের ক্ষেত্রেও কমিশন কঠোর নিয়ম প্রণয়ন করেছে। প্রতি ভোটার প্রতি ব্যয়ের সীমা ১০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে এবং সর্বোচ্চ ব্যয়ের সীমা ২৫ লাখ টাকা। প্রচারের সকল ব্যয় একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাব থেকে বহন করতে হবে।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে ২৭টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। ভোটার সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি। নির্বাচনের জন্য ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্র এবং প্রায় ১০ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন।
নির্বাচনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন। আনসার, কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ সহ প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার সদস্য নির্বাচনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।
সব মিলিয়ে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পথে এক নতুন মাইলফলক হতে যাচ্ছে। প্রার্থীদের প্রচারের সময় সীমিত হলেও, তাদের সামনে রয়েছে বিশাল দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে চলা এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করা এই সময়ের প্রধান লক্ষ্য।