ডেস্ক রিপোর্ট :
চট্টগ্রামে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার মো. হাসানকে তারই স্ত্রী-ছেলেরা মিলে প্রথমে টুকরো টুকরো করেন। এই নৃশংস হত্যা কান্ড ঢাকতে লাশ ফেলে দেন খাল ও নালাতে খণ্ড খণ্ড করে। নৃশংস এই হত্যার ঘটনা এখন সবার জানা।
সেই হত্যাকাণ্ডে ‘জড়িত’ না থাকলেও লাশের টুকরো ফেলায় হাসানের ছোট ছেলে সফিকুর রহমান জাহাঙ্গীরকে সহযোগিতা করেছিলেন তার স্ত্রী আনার কলি। এরমধ্যে মাথা ছাড়া হাসানের শরীরের অন্য সব অঙ্গের খোঁজ মিলেছে। আনার কলিকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সেই মাথার সন্ধানে নামে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা।
গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো নিহতের পুত্রবধূ আনার কলিকে নিয়ে এ অভিযান চালানো হয়। রোববারও একই স্থানে তাকে নিয়ে অভিযান চালায় পিবিআই। তবে আনার কলির দেখানো স্থানে পাওয়া যায়নি মাথা। আনার কলি বলেন, ‘আমি দোষী, আমি কি আপনাদের একবারও বলেছি আমি নির্দোষ। তখন আমার আবেগ কাজ করেছে, বিবেক কাজ করেনি। তখন যদি আমার বিবেক কাজ করতো, তাহলে এত বড় পাপে নিজেকে জড়িয়ে পড়তাম না। কারও কথা না ভাবলেও একবার আমার সন্তানের কথা ভাবতাম। আমি আমার সন্তানের কথা পর্যন্ত ভাবিনি।’
তিনি আরো বলেন,হত্যার পর আমার শ্বশুরকে বস্তার ভেতর ঢুকিয়ে রাখা হয়। এরপর রাতেই টুকরো টুকরো করা হয়। তখন আমি বাসায় ছিলাম না। তারা লাশের টুকরো করে ব্যাগে ঢুকিয়ে আমাকে ভাত খাওয়ার জন্য ডেকেছিল। পরে আমিসহ স্বামী শফিকুর রহমানের সঙ্গে পতেঙ্গা সি-বিচে গিয়ে লাশের একটি অংশ ফেলে দেয়।’