বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা। তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি টানা তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন।
শেখ হাসিনা তার মেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, নারী উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছেন। তিনি বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন।
শেখ হাসিনার জন্মদিনে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
শেখ হাসিনার জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার জন্মদিন আমাদের জন্য একটি গৌরবময় দিন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার বাণীতে বলেন, তিনি জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনেই আজ এই পর্যায়ে এসেছেন। তিনি বলেন, তিনি জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাবেন।
বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ তার শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, শেখ হাসিনা একজন দক্ষ ও যোগ্য নেত্রী। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
শেখ হাসিনার জন্মদিন ও কর্মজীবন
শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা। শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। তখন পুরান ঢাকার রজনী বোস লেনে ভাড়া বাসায় ওঠেন তারা।
শেখ হাসিনা ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা ভারতে পালিয়ে যান। ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালের ১২ জুন শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি টানা তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন।
শেখ হাসিনা তার মেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, নারী উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছেন। তিনি বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন।