খুলনা অফিস :
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেন ১৫ই আগস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট্য পরমাণবিক বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া চাকরীর কারণে জার্মানে অবস্থান করায় সেদিন ৭৫’র ১৫ই আগস্ট প্রাণে বেঁচে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহেনা। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে এ দেশের মানুষ দিশেহারা হয়ে পরে এমনি পরিস্থিতিতে হত্যাকারীরা এদেশে নিজেদের প্রতিষ্টিত করে।
এদেশের ইতিহাস কে কলঙ্কিত করে দেশের ঐতিহ্য, সত্ত্বা ও মূল ইতিহাস মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রিরা গান্ধী এমনি পরিস্থিতে বঙ্গবন্ধুর জীবিত দুই কন্যার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তখন থেকে পিতা-মাতা হারা দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা অত্যন্ত ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে একত্রে রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ শূন্য থেকে আজ বিশ্বের মর্যাদাশীন স্থানে আশীন করেছেন।
এ অর্জনের পিছনে শেখ রেহেনা প্রধানমন্ত্রীকে সাহস যোগিয়েছেন। শুধু তাই নয় দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করার পিছনে শেখ রেহেনা অবদান অপরিসীম। বাঙালীর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকল স্বপ্ন একে একে বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ আজ আধুনিক বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। তাদের এ কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধু মরে গিয়েও অমর হয়ে থাকবে ইতিহাসের পাতায়। তিনি বলেন, ১৫ই আগস্টের কলঙ্কিত অধ্যায় মুছে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ছোট বোন শেখ রেহেনাকে সাথে নিয়ে বিশ্বের বুকে দেশের উন্নয়নে যে রোল মডেল তৈরি করেছেন তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
গতকাল বুধবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত বাঙালীর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহেনার ৬৯তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও জন্মদিনের কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই সব কথা বলেন।
খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এম এ নাসিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেলের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মাসুম বিল্লাহ, হাজী ইউসুফ আলী মন্টু, ইসরাফুল জামান খান শাকিল, মীর রবিউল আলম, মোঃ রাজিব হোসেন, বায়জিদ হোসেন, মোঃ তাজমুল হক তাজুল,
এস এম আসিফ ইকবাল সবুজ, রফিকুর রহমান মারুফ, হুমায়ুন শিকদার, লিটন মাহমুদ, রবিন্দ্রনাথ ধর, জিলহজ হাওলাদার, রিপনুজ্জামান রিপন, মোজাহার হোসেন, আসাদুজ্জামান লিপন, ইমরান হাওলাদার, ফরাদ হোসেন, ইসমাইল সুমন, মোস্তাফিজুর রহমান বাদল, শুকুর আসলাম শ্রাবন, সুরভি লাইজু, খান আজিম হিজল, সাইদুর রহমান, ইমরান হোসেন, রফিকুল ইসলাম খান, মোঃ হাসান শেখ, জাকির হোসেন খোকন, শাহরিয়ান নেওয়াজ রাব্বি, রবিউল ইসলাম প্রিন্স, হামিদা বেগম, তানভীর ইসলাম সাব্বির, রিয়াজাদ হোসেন জন, মোঃ নাসির উদ্দিন, আকরাম হোসেন, শেখ রায়হান উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ প্রমুখ।