লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় গত মঙ্গলবার এক উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর নেতাকর্মীরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের লিফলেট বিতরণ করার সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন যে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে লিফলেট বিতরণ করছিলেন, কিন্তু পুলিশ অতর্কিতভাবে তাদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে। এই ঘটনায় বিএনপির অন্তত ৬-৭ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপি নেতা সাহেদুজ্জামান কোয়েল বলেন, “আমরা কেবল নির্বাচন বর্জনের বার্তা ছড়াচ্ছিলাম, কিন্তু পুলিশ আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।”
অন্যদিকে, হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম এই ঘটনার বিষয়ে বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং জনমালের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।”
এই ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে মতানৈক্য স্পষ্ট। বিএনপির নেতারা দাবি করেছেন যে তারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলেন, অন্যদিকে পুলিশ বলছে যে তারা জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করছিল। এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির এক জটিল দিক তুলে ধরেছে, যেখানে রাজনৈতিক মতবিরোধ প্রায়ই সহিংসতায় পরিণত হয়।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে শান্তি ও সহিষ্ণুতার আহ্বান জানানো হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে মতবিরোধ এবং প্রতিবাদের প্রকাশ শান্তিপূর্ণ উপায়ে হওয়া উচিত, যাতে সাধারণ মানুষের জীবনে কোনো বিঘ্ন না ঘটে। এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটি চ্যালেঞ্জিং দিক হিসেবে উঠে এসেছে, যা সমাধানের জন্য সমঝোতা ও সংলাপের প্রয়োজন তুলে ধরে।