মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ জিউধরা গ্রামে ১৬০ বিঘার একটি মৎস্য ঘের অবৈধভাবে জবর দখলের পায়তারা করছে একটি প্রভাবশালী মহল। সম্প্রতি ওই মৎস্য ঘেরে হামলা চালিয়ে ঘেরের গৈঘর ভাংচুর সরকারি খালে বাধ দেয়াসহ খালের পারের রাস্তা নিশ্চিহ্ন করে দেয় ওই প্রভাবশালী মহলটি। এ হামলার প্রতিবাদে হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন জমির মালিকগণ ও এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় জিউধরা ইউনিয়নের দক্ষিণ জিউধরা গ্রামে এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর ২ শতাধিক নারী পুরুষ । মানববন্ধন থেকে জমির মালিকগণ অভিযোগ করে বলেন, জমি যার ঘের তার স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী আমরা জমির মালিকেরা নিজ জমিতে মৎস্য ঘের করে শান্তি প্রিয়ভাবে বসবাস করতে চাই। কিন্তু ঘের মৌসুম এলেই বহিরাগত প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক জমি দখল করে হাড়ির টাকা না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমাফিক পরের জমিতে তারা ঘের করে থাকে।
এভাবে যে সময় যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের ছত্রছায়ায় বহিরাগতরা প্রতিবছরই জমির মালিকদের হয়রানি কওে আসছে। গত ৩০ মার্চ জিউধরা ইউনিয়নের পার্শ্ববতী চন্দনতলা গ্রামের ইউসুফ আলী খানের ছেলে একরামখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী নিজেকে কথিত ছাত্রলীগ নেতা দাবি করে ৩০/৩৫ জনের ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে সকাল ৮টার দিকে তাদের মৎস্যঘেরে হামলা চালিয়ে গৈ-ঘর ভাংচুর ঘেরের ভেড়িবাধ কেটে দেয়।
এতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বের করে দিয়ে ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে। ইমরান ও তার লোকজন সরকারি রেকর্ডীয় খালে বাধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে দিয়ে এলাকার লোকজনের ভোগান্তি সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় ঘের মালিকদের পক্ষে আসাদুজ্জামান মৃধা বাদী হয়ে ইমরান খানসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও প্রতিকার মিলছে না। থানা প্রশাসনের কথাও তারা শুনছে না। ইতোপূর্বে সংসদ সদস্যের কাছেও একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
মানববন্ধন থেকে ভূক্তভোগী জমির মালিক আসাদুজ্জামান মৃধা, মাষ্টার আব্দুস ছোবাহান হাওলাদার, ইউনুছ আলী খোকন, জালাল হাওলাদার, সোহরায় হোসেন মৃধা, জাহাঙ্গীর মল্লিক, মজিবর হাওলাদার, পারভীন বেগম, শাহিনুর বেগম, মর্জিনা বেগমসহ একাধিকরা একই সুরে বলেন, বহিরাগত প্রভাবশালী ইমরান খানের হাত থেকে রক্ষাসহ নিজেদের জমিতে যাতে নিজেরা ঘের করার সুযোগ পান সে জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ বিষয়ে ইমরান খান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, তিনি কারও জমি জোরপূর্বক দখল করেননি। ওই মৎস্য ঘেরে তার ক্রয়কৃত জমি ৪০ বিঘা এবং ৬০ বিগার হাড়ির টাকা দিয়ে মোট ১০০ বিঘা জমি ৩ বছরের জন্য তাকে ডিট দিয়েছে জমির মালিকেরা। চেয়ারম্যানের কাছ থেকে লিজ নিয়ে সরকারি খালে বাঁধ দেওয়া হয়েছে।