সর্বশেষ:

মসজিদে হামলা

মোরেলগঞ্জে মসজিদে হামলা: জুমার জামাত পন্ড  ইমাম, মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত ১৫

মসজিদে হামলা
Facebook
Twitter
LinkedIn

কলি আক্তার মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একদল সন্ত্রাসী একটি জামে মসজিদে জুমার নামাজের পূর্বে হামলা চালিয়ে মসজিদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এতে ইমাম, মুক্তিযোদ্ধাসহ দুই গ্রুপের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।  আহতদের মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিকটস্ত ফাঁড়ি পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। স্থানীয় মুসল্লিরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের কাছে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনার পরপর সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে, উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের বরইতলা গ্রামে হেলালিয়া জামে মসজিদে দুপুর ১ টার দিকে মসজিদে ৬০/৭০ জন মুসল্লি জুমার নামাজের উদ্যোশে মসজিদে জমায়েত হয়। জুমার খুতবা চলাকালীন সময় প্রতিপক্ষ হেমায়েত উদ্দিনের নেতৃত্বে ২০/৩০ জন নারী পুরুষের সংঘবদ্ধ একটি দল মসজিদে ঢুকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান হাওলাদারকে এলোপতাড়ি মারপিট শুরু করে। এ সময় মুসল্লিরা বাঁধা দিলে হামলাকারিরা মসজিদের মধ্যে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।

এতে মসজিদের ইমাম ক্বারী আবু ইউসুফ (৩৮), বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আলী হাওলাদার (৭১), তার ছেলে এনামুল হক হাওলাদার (৪৮), নাতী রাব্বি হাওলাদার (২৫), মুসল্লি ওবায়দুল হাওলাদার (৪০) গুরুতর আহত হয়। অপরপক্ষের হালিমা বেগম (৩৫), আসমা বেগম (৩৮), এনায়েত হাওলাদার (৫৫), ই¯্রাফিল হাওলাদার (২১), তরিকুল ইসলাম জয় (১৪)সহ উভয় পক্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুত্বর ৫ জখমীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আলী হাওলাদার বলেন, ২০ বছর ধরে  তারই প্রতিবেশী  হেমায়েত উদ্দিন দিহিদারের সাথে দুই একর জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তারা পরিকল্পিতভাবে মসজিদে ঢুকে মহিলাদের নিয়ে এ হামলা চালিয়েছে। এলাকার ওরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত, আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

হেমায়েত উদ্দিন দিহিদার বলেন, মসজিদের সভাপতি সুলতান আলী হাওলাদার মসজিদের কোন হিসাব নিকাশ না দিয়ে মসজিদের দেড় বিঘা জমি একাই ভোগ করছে। হিসাব চাইলে তার ভাই এনায়েত হাওলারসহ ৫ জনকে জখম করে।

মসজিদের ইমাম ক্বারী আবু ইউসুফ বলেন, জুমার নামাজের পূর্বে খুতবা চলাকালে হঠাৎ করে মসজিদের একদল লোক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে মুসল্লিরা ছুটাছুটি করে যে যার মত চলে যায়। এ হামলায় আমি নিজেও ইটের আঘাতে আহত হয়েছি। পরবর্তীতে ৬ জন মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করেছি।

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, মসজিদের হামলার বিষয়টি তিনি অবহিত নন। ফাঁড়ি পুলিশও তাকে ঘটনাটি জানায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana