সর্বশেষ:

মোদীর রাশিয়া

মোদীর রাশিয়া সফরের তাৎপর্য পশ্চিমা বিশ্বের কাছে

মোদীর রাশিয়া
Facebook
Twitter
LinkedIn

নিউজ ডেক্স:

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক রাশিয়া সফর আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক গুরুত্ব বহন করছে। এই সফরের মাধ্যমে রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক আরও মজবুত করার প্রচেষ্টা জোরদার হয়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব এই সফরকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করছে, বিশেষ করে বর্তমান আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে।

রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্কের ইতিহাস বেশ পুরনো। ১৯৫০-এর দশক থেকে শুরু করে আজ অবধি এই দুই দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে আসছে। মোদীর সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, এবং প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রের বিভিন্ন চুক্তি সই হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হল এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেমের ক্রয়।

পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, এই চুক্তিকে সন্দেহের চোখে দেখছে। তাদের মতে, রাশিয়া থেকে উন্নত মিসাইল সিস্টেম ক্রয় করলে ভারতের সাথে তাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়াও, রাশিয়ার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে ভারতের এই ক্রয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়মের পরিপন্থী হতে পারে।

তবে, ভারতের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি রাশিয়ার সাথে সম্পর্কের পুনর্বিন্যাসের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। মোদী সরকারের মতে, ভারতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বৈচিত্র্যময় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে ভারত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার স্বকীয়তা এবং স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখতে চায়।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে রাশিয়া এবং চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পশ্চিমা বিশ্বের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। মোদীর এই সফর পশ্চিমা বিশ্বের কাছে এই বার্তা দিচ্ছে যে, ভারত তার স্বার্থ রক্ষার জন্য স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম। এটি তাদের জন্য একটি কৌশলগত সংকেত যে, ভারত নিজস্ব স্বার্থে বিভিন্ন শক্তির সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবে।

মোদীর রাশিয়া সফর পশ্চিমা বিশ্বের কাছে একদিকে যেমন ভারতের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির প্রতিফলন, তেমনি অন্যদিকে এটি রাশিয়ার জন্যও একটি কৌশলগত সাফল্য। রাশিয়া এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে পারে। তাই, মোদীর এই সফর আন্তর্জাতিক মহলে বহুল আলোচিত এবং পর্যালোচিত হচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটে, পশ্চিমা বিশ্বের সামনে ভারতের এই কৌশলগত পদক্ষেপ আগামী দিনে কেমন প্রভাব ফেলবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে নিশ্চিতভাবেই এটি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন দিক নির্দেশনার সূচনা করতে পারে।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana