বিশেষ প্রতিনিধি,বটিয়াঘাটা থেকে :
মানসিক নির্যাতন সহ করতে না পেরে বাপের ভিটায় গিয়ে আত্মহত্যা করল এক ব্যাংক কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ,শশুর বাড়ির লোকজনের অত্যাচার আর মানসিক নির্যাতন সহিতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে মোঃ রফিকুল গোলদার।
ঘটনাটি ঘটেছে,শনিবার দিবাগত রাতে।খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর এলাকায়। রফিকুল গোলদার তার পৈত্রিক বাড়ি শরাফপুর বেড়েতে যায়। ঐরাতে তার বাপের পরিত্যক্ত এক ভিটায় একটি শিরিস গাছের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। সূত্রে প্রকাশ,শরাফপুর এলাকার মৃত্যু রওশেন আলীর ছেলে মোঃ রফিকুল গোলদার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক পদের চাকরি শেষে যোগদেন করেন এজেন্ট ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বটিয়াঘাটা শাখার ম্যানেজার পদে।
জানা যায়,রফিকুল বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের রায়পুর এলাকার আমিন গাজীর কন্যারকে বিবাহ করে। বিয়ের পর থেকে রফিকুল এলাকা থেকে চলে যায়। সে শশুর বাড়িতে বসবাস করে।
নিহতর চাচাত ভাই,তার বোন ও ভাগ্নেসহ তার প্রতিবেশিরা অভিযোগ করে বলেন, রফিকুলের মৃত্যুর কারন তার শশুর বাড়ির লোকজন। রফিকুলের বিয়ের পরথেকে কারন অকারন বিভিন্ন সময় তার শালা মোজাহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সহ শশুর বাড়ির লোকজন অত্যাচার ও মানুষিক নির্যাতন করত।
একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে রফিকুলের সাথে তার শালা মোঃ মোজাহিদুল ইসলামের সাথে ব্যাংকের পার্টারশিপ বিষয় ও টাকা পয়সা নিয়ে ঝামেলা হতো। রফিকুলের ভাগ্নে আছাদুল শেখ বলেন,মামার বিয়ের পর থেকে মামি সহ তার ভাইদের ব্যবহার ভালো ছিলোনা। তাই আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ কম রাখতাম।
নিহত রফিকুলের বোন রেবেকা,চাচাত ভাই মোজাফফর গোলদার,আনজিরা,আসমা, হালিমসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, রফিকুল সবার সাথে কম কথা বলত। এলাকায় তার সাথে কারোর শত্রুুতা নেই। জমিজমা সমস্যা নাই। শশুর বাড়ির সাথে টাকা নিয়ে সহ বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যা চলে আসছিল।
বিভিন্ন সময় তার শালা মোজাহিদ ও স্ত্রী সহ শশুর বাড়ির লোকজনের সাথে টাকা পয়সা নিয়ে বিরোধ চলছিল। প্রায় সময় তারা রফিকুলকে মানুষিক অত্যাচার ও নির্যাতন করত। তাই সব জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেচে নোয়। এঘটনায় ডুমুরিয়া থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ব্যাংককর্তা রফিকুলের শালক মোজাহিদুল ইসলাম এর মোবাইল +8801712336684 নাম্বারে একাধিক বার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।