ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের নেত্রীর জন্য উচ্চাশয়ে আলোচিত এবং শাস্তির শিকার হয়েছেন সম্প্রতি। একজন অভিজ্ঞ এবং অনুকরণীয় নেতা এরকম আচরণ কখনই সহ্য্য করা যাবে না। লীডারশীপের দৃষ্টিকোণ থেকে যদি আমরা তাকে দেখি, তাহলে প্রথমেই তার যে দুর্বলতা ফুঁটে উঠে সেটা হচ্ছে “সিটুয়েশন হ্যান্ডলিং”। বিভিন্ন পরিস্থিতিতেই সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি, প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে প্রায়ই। যে কোন পরিস্থিতিতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা লীডারশীপের একটি গুরুত্বপূর্ণ আচরণ।
দ্বিতীয়ত, প্রতিপক্ষকে সম্মান করা না। তার কথাবার্তা এবং বডি ল্যাংগুয়েজে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল প্রতিপক্ষের প্রতি তার অবজ্ঞা এবং সেখান থেকেই অভদ্রতা। “সুপেরিয়র কমপ্লেক্সিটি” লীডারশীপকে ধ্বংস করে দেয়।
তৃতীয়ত, কুটনীতি বা ডিপ্লোমেসি। আন্তর্জাতিক খেলায় নেতাদের ডিপ্লোমেসি জানতে হয়, বোঝতে হয়। সাধারণ মানুষের মতো যা ইচ্ছা তা তাই বলা যায় না, আবার উচিত কথা এড়িয়ে যাওয়া যায় না। এই বিষয়ে বাংলাদেশ দলের নেতার কিন্তু পূর্ণ নাম্বার পাবেন। এরোগ্যান্সির প্রতিবাদ তিনি কিন্তু ঠান্ডা মাথায় দিয়েছেন, নিজের দলকে নেয়ে সরে যাওয়া হয়েছে।
চতুর্থত, শো-ডাউন টেন্ডেন্সি। আমার মতে, কিছু পাবলিক ইমোশন সংলগ্ন করে কথাবার্তা বলে এক ধরণের সস্তা জনপ্রিয়তা ছিয়েছেন তিনি। এবং এটা পুঁজি করে হয়তো দল হিসেবে তাদের ব্যর্থতা ঢাকার একটা প্রচেষ্টা ছিল, এবং এই সম্পর্কে তাদের সাপোর্টাররা কিন্তু তাদের দলের ব্যর্থতা প্রতি কোনো নজর দেননি।
শেষে, নেতার হিসেবে নিজের দলের “এরিয়া অভ ইম্প্রুভমেন্ট” নিয়ে তার মুখে কোনও কথা শোনা যায়নি, তিনি “ব্লেম গেম” খেলেছেন। ভারতীয় নেতার একটি বর্ণাঢ্য করিয়ার আছে, সাফল্য আছে। কিন্তু নেতা যদি ব্যর্থতা মানতে পারেন না, তাহলে দলের অবস্থা খারাপ হয়েই থাকবে।
হিটলারের পতনের শুরু কিন্তু একটা পরাজয়ে শুরু হয়েছিল এবং হিটলার পরাজয় মেনে তোলতে পারতেন না। হিটলারের মন্ত্র ছিল “তুমি যদি সফল হও, তোমার সফলতার বর্ণনা দেওয়ার দরকার নেই। আর তুমি যদি ব্যর্থ হও, তাহলে বর্ণনা দেওয়ার জন্য সেখানে তোমার থাকার দরকার নেই।” ভারতীয় নেতার সেই দিনে তাদের ব্যর্থতার বর্ণনা না দেওয়াই এন্ডারডগ বাংলাদেশ দলের সাফল্যের জন্য শুভকামনা জানানো হতো সবচেয়ে উদাহরণীয় এবং মহান লীডারশীপ।