সর্বশেষ:

বেড়িবাঁধ

বেড়িবাঁধ নিয়ে সংগ্রাম আর কত দিন?

বেড়িবাঁধ
Facebook
Twitter
LinkedIn

বেড়িবাঁধ মেরামত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে পাইকগাছার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ

এস,এম,আলাউদ্দিন সোহাগ,পাইকগাছা (খুলনা)

ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ প্রাথমিক মেরামত করতে আরো কিছুদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ। উল্লেখ্য, গত ২৬ মে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানে উপক‚লীয় জনপদ পাইকগাছায়। টানা কয়েক ঘন্টার ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডব এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরের দিন ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ঝড়ের তান্ডবে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন স্থানের ওয়াপদার বেড়িবাঁধ।

রেমাল এর তান্ডবে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে ও উপচে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। যেসব ইউনিয়ন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার মধ্যে দেলুটী, সোলাদানা, গড়ইখালী, রাড়–লী, লস্কর ও পৌরসভা অন্যতম। সরকারি প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী কমপক্ষে ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী কয়েক দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের যৌথ প্রচেষ্টায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ প্রাথমিক মেরামত, কোথাও কোথাও রিং বেড়িবাঁধ দিয়ে নদীর পানি প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। এখন ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ কিছুটা মজবুত করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ।

দেলুটি ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রাথমিক বাঁধ মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল। প্রাথমিক মেরামত কাজ শেষ করতে আরো কিছুদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এ জনপ্রতিনিধি। অনুরূপভাবে চলমান রয়েছে গড়ইখালী বাজার সংলগ্ন আবাসন প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামতের কাজ। মূল ওয়াপদার বাইরে প্রতিরক্ষা বাঁধ বেষ্টুনী দিয়ে ১৭৫ পরিবার গড়ইখালী আবাসনে বসবাস করে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর আঘাতে এখানকার ২ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে আবাসনের বাসিন্দারা বাঁধটি মেরামতের কাজ করছেন।

এ কাজে নিজেই অংশগ্রহণ করে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন গড়ইখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম কেরু। প্রতিদিন এখানে ২শ মানুষ বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করছেন। প্রতিদিন নিজ উদ্যোগে কাজ করতে আসেন বলে জানান গৃহবধু সাজেদা বেগম। আবাসনের কাজে সহযোগিতা করতে মেরামত কাজে এসেছেন বলে জানান আবাসনের পাশের বাসিন্দা আফাজ গাজী। প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা সময় বাঁধ মেরামতের কাজে লাগান বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম কেরু। বাঁধ নিয়ে উপক‚লীয় জনপদের মানুষের এমন সংগ্রাম আর কতো দিন? এমন প্রশ্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana