ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আবারও তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদনটি মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকেও বেগম জিয়ার বিদেশে সুচিকিৎসার সুযোগ চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর চিঠির মাধ্যমে আবেদন করেন শামীম ইস্কান্দার। চিঠিতে ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখ উল্লেখ ছিলো। এটি ৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।
খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে সপ্তমবার বর্ধিত মুক্তির মেয়াদ শেষ হয় গত ২৪ সেপ্টেম্বর। এর আগেই তার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়।
এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি অষ্টমবারের মতো বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়। মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শর্ত দুটি হলো: খালেদা জিয়া আগের মতোই ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
বিএনপির যুগপৎ একদফা আন্দোলনের অন্যতম দাবি বেগম জিয়ার স্থায়ী মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ। বিএনপি নেতাদের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। বিদেশে চিকিৎসার জন্য কোনো আবেদন তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয়নি। আর বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই, এ বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন।
তবে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ৫ সেপ্টেম্বরেই বেগম জিয়াকে বিদেশ নেয়ার আবেদন করা আছে।
শামীম ইস্কান্দারের আবেদনপত্রে বলা হয়, ‘বেগম জিয়ার জীবন রক্ষার্থে ও তার শারীরিক সক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে উন্নতমানের ফিজিওথেরাপিসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে দেশের বাইরে ‘advance medical centre’- এ চিকিৎসা গ্রহণ করা আবশ্যক। এমতাবস্থায় সকল শর্ত শিথিলপূর্বক তাকে স্থায়ী মুক্তি এবং বিদেশে গমনের অনুমতি প্রদানের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’
উপসংহার
বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। তবে সরকার এখনও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।