ডেস্ক রিপোর্ট:
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি আবারও সারা দেশে দুই দিনের জন্য সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিয়েছে। এই অবরোধ আগামী রোববার ও সোমবার (৪ ও ৫ নভেম্বর) পালিত হবে। বিএনপির এই ঘোষণা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই অবরোধের কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, গত ১৫ বছর ধরে বিএনপির ওপর চলা হামলা ও মামলার প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এই অবরোধ ডাকা হয়েছে।
এর আগে বিএনপি তিন দিনের একটি অবরোধ কর্মসূচি পালন করে, যা আজ বৃহস্পতিবারে শেষ হয়। এরপর দুই দিনের বিরতির পর আবারও নতুন করে অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, "আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। সন্ধ্যার দিকে নতুন কর্মসূচি জানতে পারবেন।"
বিএনপির এই অবরোধের ডাকে জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। সড়ক, নৌ ও রেলপথে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে, যা জনগণের দৈনন্দিন জীবনে বাধা সৃষ্টি করবে। এছাড়াও, বিএনপির এই অবরোধ কর্মসূচি অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।
বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন যে, তাদের এই অবরোধ জনগণের সমর্থন পাচ্ছে এবং জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশ নিচ্ছে। তারা দাবি করেন যে, জনগণ বর্তমান সরকারের পদত্যাগ চায়।
এদিকে, সরকার বিএনপির এই অবরোধের ডাককে অগ্রাহ্য করে দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত কী দিকে মোড় নেবে, তা নিয়ে সবার মধ্যে উৎকণ্ঠা ও আলোচনা চলছে।