খুলনা অফিস ->>
এবার এক প্রতারকের বিরুদ্ধে পুলিশ ও সাধারণ মানুষকে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি বটিয়াঘাটা উপজেলার ভান্ডারকোট এলাকায়। থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন বিভিন্ন ভুক্তভোগী। তার পরেও থেমে নেই এই প্রতারক।
উপজেলার ভান্ডারকোট এলাকার হাফিজুর রহমান দেলোয়ার এর পুত্র প্রতারক এই মোনায়েম হোসেন মিথুন (৩৭)। সে বিভিন্ন অভিনব কায়দায় প্রতারনার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় টাকা। প্রতারক মিথুনের বড় ভাই আজাদ ওরপে আজম এর বিরুদ্ধেও রয়েছে বিভিন্ন প্রতারনার অভিযোগ। প্রতারক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি সে। তার পিতা হাফিজুর রহমান দেলোয়ার একাধিক মামলার আসামি ছিলো। পরে র্যাবের হাতে ক্রসফায়ারে মারা যায় সে।
এলাকাবাসী অভিযোগ,শুধু মিথুন নয় তার গোটা পরিবারই হচ্ছে প্রতারক চক্রের সদস্য। সম্প্রতি দুই ভুক্তভোগী প্রতারক মিথুনের বিরুদ্ধে খুলনা পুলিশ সুপার সহ বটিয়াঘাটা থানায় অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী মোঃ সাইফুল ইসলাম গাজী,পিতা মোঃ মুনসুর আলী গাজী, গ্রাম হরিদাসকাঠী, থানা পাইকগাছা, জেলা খুলনা বলেন,আমি ড্রাইভার এর চাকুরী করি। বিবাদী মোনায়েম হোসেন মিথুন অত্যন্ত খারাপ,পর-সম্পদলোভী প্রকৃতির।
২০২০ সালের শেষে দিকে তাহার নিজ “ট্রেড ওয়ার্ল্ড” নাম গাড়ী বিক্রয়ের শো-রুম হতে আমি একটি হাই এক্স-৬ ১০০০ সিসি মডেলের একটি আয়ালেন্স ক্রয়ের জন্য আমি আগ্রহ প্রকাশ করি এবং গাড়ি বাবদ ১ লাখ ৭২ হাজার টাকায় চুক্তি হয়। সেই সুবাদে আমি মিথুনকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চেক ও নগদে ৯০ হাজার টাকা সর্বমোট ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়ছি।
যার স্বাক্ষী রয়েছে পরবর্তীতে আমি বিবাদী মিথুনকে অবশিষ্ট টাকা দিয়ে গাড়ীটি নিতে চাইলে,আজ দেব কাল দেব বলে ঘুরতে থাকে। এক পর্যায় সে আমাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়। ফলে আমি সঠিক ন্যয়বিচারের জন্য বটিয়াঘাটা থানায় ও পুলিশ সুপার বরাবর মিথুনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করি।
অন্যদিকে ভান্ডারকোট এলাকার মৃত নওয়াব আলী শেখের পুত্র মোঃ মফিজুর রহমান বলেন,মোঃ মোনায়েম খান মিথুনের বিরুদ্ধে গত ১৪ আগষ্ট ২০২২ সালে একটি বড় জাতের গরু যার বাজার মূল্য সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। গরুটি তার নিকট বিক্রি করি।
গরুর বিক্রির নগদ টাকা না বুঝিয়ে দিয়ে SBAC ব্যাংকের একটি চেকদেন। যার একাউন্ট নং- ০০০৭১৩০০০০৩৪৮,সিরিয়াল নং- ১৭০০১০০৫৯,তারিখ- ১০/১০/২০২২। বিবাদীগণ আমাকে বলে ১০/১০/২০২২ তারিখে উক্ত চেক দিয়ে সম্পূর্ণ টাকা তুলে নিতে। পরবর্তীতে আমি চেকের ধার্য্য তারিখে টাকা উঠাতে গিয়ে দেখি একাউন্টে টাকা নাই। আমি নিবাসীগণের নিকট বিষয়টি জানালে এবং আমার টাকা চাইলে বিবাদীগণ বলে এখন সব টাকা নিতে পারবো না।
আস্তে আস্তে নিতে হবে। এক পর্যায় সে আমাকে ৪৫ হাজার টাকা দেয়। পরে আমি বাকি টাকা চাইলে সে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেয় এবং বলে টাকা দিবনা পারলে আদায় করে নিস। তখন আমি সঠিক ন্যয়বিচারের জন্য বটিয়াঘাটা থানায় ও খুলনা পুলিশ সুপার বরাবর মোঃ মোনায়েম খান মিথুন (৩০),ইয়াসমিন আক্তার জুলিয়েট (৩৫) ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মারিয়া জুলিকে বিবাদী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
ভান্ডারকোট পুলিশ ফাঁড়ির এস আই প্রভাষ সাহা বলেন,মিথুনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ থানায় হয়েছে.তার তদন্তকারী অফিসার আমি। কোন কিছু ছাড়াই মোনায়েম খান মিথুন আমার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার ও ডিআইজি বরাবর অভিযোগ করে মিথ্যা ভাবে অহেতুক হয়রানী করছে আমাকে। আমি তদন্ত পূর্বক এর সঠিক ন্যায়বিচার চাই। বতর্মান মিথুন সহ তার ক্যাডার বাহিনী অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা।