বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধি :
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বটিয়াঘাটার সুরখালী ইউনিয়নের সুকদাড়া এলাকায় ১৪ বছরের এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী ধর্যনের স্বীকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ধর্ষীতার মা চঞ্চলা মন্ডল বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে বটিয়াঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভিক্টিমের মা অভিযোগে বলেন, সুকদাড়া এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক পল্লব হালদার সহ তার মহাযোগী পিয়াস রায়, চিরঞ্জিত রায় ও গোপাল রায় আমার মেয়ে তুলি মন্ডলকে ১৪ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন বিভিন্ন স্থানে পূজা দেখার কথা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।
সন্ধ্যায় পর মেয়ে যখন বাড়ি ফিরে না আসে, তখন আমরা খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায় না। পরের দিন ভোরে আমার মেয়ে বাড়িতে আসে। তখন তার নিকট জানতে চাই, সে কোথায় ছিল। তখন সে বলে,পল্লব আমাকে ডেকে নিয়ে যায় সুকদাড়া উত্তর বিলে। সেখানে সে আমাকে সারা রাত রাখে। পরে সে আমাকে বিয়ে করবে বলে আমার সাথে মেলামেশা করে।
ভিকটিমকে শনিবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
সুরখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শশাঙ্ক কুমার রায় বলেন, পল্লব আমাদের সংগঠনের কেউ না।
বটিয়াঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় থানায় নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। মামলা নাম্বার ১৫। আসামিদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।