তুরান হোসেন রানা :বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি :
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক অসহায় পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে,গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের সুন্দরমহল এলাকায়। স্থানীয় শামীম গাজী সহ তার গং বাহিনী উক্ত হামলা ও মারপিট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পিয়ারুল বিশ্বাস (৫০) বাদী হয়ে রবিবার ৫ জনকে বিবাদী করে বটিয়াঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিবাদী অভিযুক্তরা হলেন, প্রতিবেশী মৃত বাবর আলী গাজীর স্ত্রী জোহরা বেগম (৬৫), ছেলে শামীম গাজী (৪০), লিয়াকত গাজী (৪৫), পুত্রবধূ পাখি বেগম (৩৫) এবং আরিফা বেগম (৩২)।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়,বসতবাড়ির যাতায়াতের রাস্তা সংক্রান্তের জের ধরে প্রতিবেশী লিয়াকত গাজীর পরিবারের সাথে ভুক্তভোগী পিয়ারুল বিশ্বাসের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হয়ে যোগ সাজসে ভুক্তভোগী পিয়ারুল বিশ্বাসের বসত বাড়িতে ডুকে অভিযুক্তের বৌমা তামান্না বেগমকে (২৩) ও তার স্ত্রীর উপর হামলা করে মারপিট শুরু করে। মারতে মারতে হামলা কারীরা তামান্নাকে বাড়ির বাহিরে নিয়ে রাস্তায় ফেলে অন্ধকারে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। তার শরীরের জামাকাপড় ছিড়ে ফেলে। এক পর্যায় শামীম গাজী লোহার রড দিয়ে তামান্নার মাথায় আঘাত করে। আঘাত লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে নাকের উপরিভাগে লেগে মারাত্মক জখম হয় সে। অন্যান্য বিবাদীরা তামান্নার লজ্জাস্থান সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মকভাবে নীলা ফোলা জখম করে। ওই সময় ভুক্তভোগীর নাতনী তাহসিন খাতুন (৩) কান্নাকাটি করতে থাকলে বিবাদী লিয়াকাত গাজী তার গলা ধরে ছুড়ে ফেলে দেয়।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী ফুলমতি বেগম তার নাতনি ও বৌমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে শামীম গাজী সহ তার গং বাহিনী তামান্নার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি মারপিট করে এবং তার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। শামীম বাহিনী মেরে ক্ষান্ত হয়নি। তারা পিয়ারুল বিশ্বাসের রান্না ঘরে ঢুকে খাবারের আসবাবপত্র ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। খবর পেয়ে ঐ রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বারোআড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই গণপতি সরকার সহ তার সঙ্গীয় ফোর্স।
ভুক্তভোগী পিয়ারুল বিশ্বাস বলেন,ঘটনার পরের দিন আহত অবস্থায় বৌমাকে নিয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি এবং পরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বটিয়াঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করি। তিনি আরো বলেন,ইতোপূর্বে শামীম বাহিনী আমাদের উপর হামা করেছিল। তখন তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। বতর্মান উক্ত ঘটনার পরে আমি সহ আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এর সুষ্ঠু ন্যায় বিচার চাই।
বিবাদী শামীম গাজীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে,তা সঠিক না। আমি কাউকে মারিনি। বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শওকত কবির বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত-পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।