বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ
বটিয়াঘাটা উপজেলাধীন জলমা ইউনিয়নের রাঙ্গেমার মৌজার মরা কাজীবাছা নদী ইজারাকৃত রাঙ্গেমারী(বদ্ধ) জলমহলের দায়িত্ব রত কর্মচারীদের উপর মাদক ব্যাবসায়ী ও চিহ্নিত সত্রাসী ইমরান গ্রুেপের হামলা।যানাযায়, জলমহলটি ইজারা শুরু হওয়ার পূর্বে ঐএলাকার ভূমি দস্যুরা অবৈধভাবে দখল করে ভোগ করত।পরে এটি জলমহলের তালিকা ভুক্ত হলে তেঁতুলতলা ও পুটিমারি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যরা জলমহলটি খুলনা জেলা প্রশাসক ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি ইজার নিয়া মৎস্য চাষ করিয়া আসিতেছে। এতে ইজারা গ্রহীতাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ঐ এলাকার কিছু মাদক ব্যাবসায়ী ও ভূমি দস্যুরা। যারা পূর্বে জলমহলটি অবৈধভাবে ভোগ দখল করত।
তাদের মধ্যে জাফর আলী মুন্সি পিতা লুৎফর রহমান মুন্সি সাং তেঁতুলতলা, ইমরান হাওলাদার, ফেরদাউস হাওলাদার উভয় পিতা নজরুল ইসলাম (বজলু)প্রায়ই উক্ত মৎস্য ঘেরে দায়িত্বে থাকা মোঃ সোহরাব হোসেন মুন্সী, প্রিন্স হাওলাদার সহ অন্যন্যদের কাছে টাকা চাইতো।এরা মৎস্য ঘেরে জামেলা করতে পারে বলে তাদের দাবিকৃত টাকা দিয়ে আসতো।মৎস্য খামারটির বাৎসরিক ইজারার টাকা পরিশোধ করতে হিমশিম খাওয়ায় সমিতির সদস্যরা উল্লেখিত ব্যাক্তিদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করে।এরই জের ধরে জাফর আলী মুন্সী, মাদক ব্যাসায়ি ইমরান বাহিনীদের নিয়া মৎস্য খামারটি দখল করার চেষ্টা করে।
এর ধারাবাহিকতায় গত ইংরেজি ০৩/০৪/২৪ ইং তারিখ বুধবার উক্ত জলমহাল থেকে জেলা প্রশাসকের নামিয় একটি সাইবোর্ড উঠায়া ফেলে এবং সোনালী মৎস্য খামার নামে সাইনবোর্ড দেয়।গত ০৫/০৪/২৪ ইং তারিখ রোজ শুক্র বার আনুমানিক সকাল ৮ টার দিকে মোঃ জাফর আলী মুন্সী পিতা লুৎফর রহমান মুন্সীর নির্দেশে মাদক ব্যাবসায়ী ইমরান হাওলাদার, ফেরদাউস হাওলাদার উভয় পিতা মৃত নজরুল ইসলাম(বজলু) সাং তেতুলতলা,সোহাগ বয়াতি পিতা মৃত জাফর বয়াতি,সাং শান্তি নগর, সর্ব থানা বটিয়াঘাটা জেলা খুলনা মোঃ আনোয়ার পিতা,অজ্ঞাত সাং সহ আরো অজ্ঞাতনামা চার পাঁচজন জাফর আলী মুন্সির নির্দেশে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা মাছ ধরা কালে মৎস্য খামারটিতে থাকা কর্মচারীদের কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে,না দিলে বসিয়ালদের উঠাইয়া দিয়ে ঘের দখল করিয়া নিবে এতে বাধা দিলে জিবনের তরে শেষ করিয় দিবে মর্মে হুমমি প্রদান করে।
কর্মচারীরা এবিষয় জিজ্ঞেস করতে গেলে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা ঘেরের কর্মচারী মোঃ প্রিন্স হাওলাদার, মোঃআলামিন মুন্সি কে হত্যার উদ্দেশ্যে রাম দা, চাইনিজ কুরাল দিয়া এলো পাতাড়ি ভাবে কোপায়। সাংবাদিক মোঃ সোহরাব হোসেন মুন্সী ঠেকাতে গেলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্য চাইনিচ কুরাল দিয়ে মাথা লক্ষ করে কোপ দেয়।উক্ত কোপ ডান হত দিয়ে ঠেকালে তার ডান হতের তালুতে লাগে এবং রক্তাক্ত জখম হয় ।আহতদের বটিয়াঘাটা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে অবস্তা গুরুতর হলে তাদের খুলনা মেডিকে কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।এ বিষয় প্রিন্স হাওলাদার বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।