বজ্রপাত হলো প্রাকৃতিক একটি ঘটনা যা আকাশের বৈদ্যুতিন আচরণের ফলে ঘটে। এটি আকাশগঙ্গার মেঘগুলির মধ্যে আত্মপ্রকাশ হওয়ার ফলে ঘটে থাকে। বজ্রপাত বৃষ্টির সাথে সঙ্গে অত্যন্ত ক্রান্তিকারী বজ্র ও গজনীয় শব্দের সমন্বয়ে ঘটে থাকে। এটি বজ্র মূলক একটি বিদ্যুতের দৌত্তভয়ঙ্কর প্রকাশন যা ভূমিতে বজ্র সংঘাতের ফলে উত্পন্ন হয়। বজ্রপাত বৃষ্টির মাধ্যমে প্রাণী, মানবজাতি, ওয়াপস ও প্রয়ানযন্ত্রে ক্ষয় ও ক্ষতির ঘটনা সহন করতে পারে।
একটি বজ্রপাতের ঘটনার পেছনে রয়েছে আকাশে রুদ্রকের সাথে তার বয়স্ক দেবতাগণের কথা। ভারতীয় পুরাণে বলা হয়, ভগবান শিব ও পার্বতীর ছেলে কার্তিকের দেবতাদের মধ্যে আকাশ নিয়ে বিচার হয়েছিল। কার্তিক অত্যদ্ভুত শক্তি দিয়ে সর্বাধিক প্রান্তিক একটি স্থান আকাশের জন্যে চেয়েছিলেন। এই বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যে কার্তিক আকাশের প্রান্তিক দেবতা হয়েছেন এবং তিনি আকাশ ও বৃষ্টিপাতের প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করেন।
বজ্রপাতের ঘটনাটি বিজ্ঞান দ্বারা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বজ্রপাতের ঘটনা মেঘগুলির মধ্যে উপস্থিত শক্তিশালী আয়তনের চার্জধারী কণার কারণে ঘটে। মেঘে উপস্থিত সাধারণত মুক্ত ইলেকট্রন ও আনুভূমিক বিদ্যুতচুম্বক ক্ষেত্র একত্রে কাজ করে মেঘকে চার্জধারী করে। যখন এই আয়তনের চার্জধারী কণা মেঘের মাধ্যমে আকাশের কাছাকাছি চলে যায়, তখন পৃথিবীর উচ্চস্থ চার্জধারী ভূমি ও আকাশের মধ্যে তীব্র বিদ্যুতচুম্বক ক্ষেত্র উত্পন্ন হয়। এই উচ্চস্থ বিদ্যুতচুম্বক ক্ষেত্র বিভিন্ন রেখায় আবদ্ধ থাকা অভিকর্ষ শক্তিতে কারণে শক্তিশালী বজ্র প্রকাশ করে। বজ্রপাতের প্রভাবে উচ্চস্থ আকাশপথের শক্তিশালী বিদ্যুতচুম্বক ক্ষেত্র মাটির উচ্চস্থ উপর পড়ে এবং পৃথিবীতে অন্যান্য স্থানে একটি আক্রমণ ব্যপ্তির প্রভাব পাওয়া যায়।
বজ্রপাত জ্বালানি বা আগুনের প্রভাব সৃষ্টি করে এবং শব্দ তৈরি করে। বজ্র প্রকাশ হলে তা আগুনের মতো প্রকাশ করে এবং জ্বালানি পানিতে ও বিষাক্ত বস্তুতে চিপয়ে যায়। যখন বজ্র অতিরিক্ত উষ্ণতা প্রদান করে, তখন পরিবেশের বায়ু অতিউষ্ণ হয় এবং বিপর্যয় তৈরি করে। একইভাবে, বজ্রপাতে সৃষ্টিকৃত শব্দের কারণে ভূমিতে গুরুত্বপূর্ণ শব্দ শক্তি উত্পন্ন হয় যা হালকা থেকে উচ্চ শব্দের মধ্যে পরিণত হয় এবং একটি বিজ্ঞানী পর্যবেক্ষণ করলে বজ্র দেখা যায় প্রথমে এবং তারপরে শব্দের শব্দ শোনা যায়।
সারাদেশে বজ্রপাত একটি প্রমুখ প্রাকৃতিক ঘটনা যা উষ্ণ ও মেঘগুলির সংঘর্ষে ঘটে। বজ্রপাত প্রতিষ্ঠিত রেখার মাধ্যমে মেঘের মধ্যে যখন বৈদ্যুতিন শক্তি ছাড়া হয়, তখন মেঘ এবং পৃথিবীর উচ্চস্থের মধ্যে বিদ্যুত প্রবাহ উত্পন্ন হয়। এটি মেঘের আচরণ মেশানোর ফলে শব্দ, আলো ও আগুন প্রকাশ করে। এই বজ্রপাতের প্রভাবে ক্ষয় ও ক্ষতির ঘটনার সম্ভাবনা থাকে যা মানুষ ও প্রাণীদের জীবনযাত্রা ও প্রয়ানযন্ত্রে প্রভাবিত করতে পারে।