পেরুতে একটি দেয়াল রয়েছে যা ধনী ও গরীবের মধ্যে একটি স্পষ্ট বিভাজন তৈরি করেছে। এই দেয়ালটি লিমা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং এটি একটি বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং থেকে একটি দরিদ্র বস্তি এলাকাকে আলাদা করে।
দেয়ালটির একটি পাশে, ধনী বাসিন্দারা বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টগুলিতে বাস করেন। তারা তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত সুইমিং পুল, জিম এবং পার্কিং সুবিধাগুলির অ্যাক্সেস রয়েছে। অন্যদিকে, দেয়ালের অন্য পাশে, দরিদ্র বাসিন্দারা ঠেলাঠেলি করে বসবাস করে। তারা প্রায়শই অপর্যাপ্ত খাবার, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার অ্যাক্সেস পায়।
দেয়ালটি ২০০৮ সালে নির্মিত হয়েছিল, যখন লিমার কেন্দ্রস্থলে গণবিক্ষোভের পর সরকার শহরের ধনী ও গরীব এলাকার মধ্যে উত্তেজনা কমাতে একটি পদক্ষেপ হিসেবে এটি নির্মাণ করে। তবে, দেয়ালটি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে, কারণ এটিকে একটি প্রতীকী বস্তু হিসাবে দেখা হয় যা পেরুতে সামাজিক বৈষম্যের সমস্যাকে প্রতিফলিত করে।
দেয়ালটিকে ঘিরে উত্তেজনা এখনও রয়েছে। ২০২২ সালে, দরিদ্র বস্তি এলাকার বাসিন্দারা দেয়ালটি ভেঙে ফেলার জন্য একটি বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল। তবে, পুলিশের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভটি দমিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
দেয়ালের প্রভাব
দেয়ালটি পেরুতে সামাজিক বৈষম্যের সমস্যাকে আরও তীব্র করে তুলেছে। এটি ধনী ও গরীব বাসিন্দাদের মধ্যে একটি স্পষ্ট বিভাজন তৈরি করেছে, যা পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতাকে বাধাগ্রস্ত করে।
দেয়ালটি দরিদ্র বাসিন্দাদের জন্যও একটি প্রতিবন্ধকতা। এটি তাদের কাজ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলিতে অ্যাক্সেস পেতে বাধা দেয়।
দেয়ালটি অপসারণের দাবি
দেয়ালটি অপসারণের জন্য ব্যাপক দাবি রয়েছে। অনেকে মনে করেন যে দেয়ালটি পেরুতে সামাজিক বৈষম্যের সমস্যাকে সমাধান করতে সাহায্য করবে না।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, পেরু সরকার ঘোষণা করে যে তারা দেয়ালটি অপসারণের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করছে। তবে, এই পরিকল্পনাটি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।