সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির এক সমাবেশে সংঘটিত সহিংসতায় পুলিশ সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম পারভেজের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অন্যতম আসামি হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি আনসার উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই গ্রেফতারি অভিযান সম্পন্ন করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯। এই ঘটনার বিস্তারিত তথ্য এবং সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়া আউটলেটে প্রকাশিত হয়েছে।
গ্রেফতারের প্রাক্কালে আনসার উদ্দিনের বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজ হত্যার অভিযোগ ছিল এবং তিনি এই মামলার অন্যতম আসামি হিসেবে চিহ্নিত হন। এই হত্যাকাণ্ড ঘটে গত ২৮ অক্টোবর, যখন ঢাকায় বিএনপি সহ কয়েকটি দলের মহাসমাবেশ চলছিল। এই সমাবেশের সময় সংঘটিত সহিংসতায় কনস্টেবল আমিরুল নিহত হন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানান যে আনসার উদ্দিন এই মামলার অন্যতম আসামি। তার গ্রেফতারি সিলেট থেকে সম্পন্ন হয়।
এই ঘটনায় মূল আসামি আপন আহম্মেদকে (৪৫) গতকাল বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর গলাচিপা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গভীর রাতে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকায় আনা হয়।
এই গ্রেফতারির মাধ্যমে পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় একটি বড় ধরনের অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। পুলিশ এবং র্যাব উভয়ই এই মামলার তদন্তে সক্রিয় রয়েছে এবং আরও সম্ভাব্য আসামিদের খোঁজে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
এই ঘটনার পর থেকে রাজনৈতিক মহলে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা এবং সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। এই গ্রেফতারি অনেকের কাছে একটি স্বস্তির খবর হিসেবে আসলেও, অনেকে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং সকল দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এই মামলার তদন্ত এবং বিচারিক প্রক্রিয়া এখনও চলমান এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের দিক থেকে এই ঘটনার প্রতি নজর রাখা হচ্ছে।