সংক্ষেপে: পাকিস্তানে অস্ত্রোপচারের সময় রোগীর দেহ থেকে কিডনি চুরি ও বিক্রির অভিযোগে এক চিকিৎসক ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের গ্রেফতার করেছে পাকিস্তান পুলিশ। গ্রেফতার ওই চিকিৎসকের নাম ফাওয়াদ মুখতার। তার নেতৃত্বে চক্রটি তিন শতাধিক রোগীর কিডনি চুরি করেছেন। পাকিস্তানে কিডনি চুরি ও বিক্রি একটি বড় সমস্যা।
অস্ত্রোপচারের সময় রোগীর দেহ থেকে কিডনি সরিয়ে ফেলা এবং বিক্রির অভিযোগে এক চিকিৎসক ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের গ্রেফতার করেছে পাকিস্তান পুলিশ। গ্রেফতার ওই চিকিৎসকের নাম ফাওয়াদ মুখতার। এ পর্যন্ত তার নেতৃত্বে চক্রটি তিন শতাধিক রোগীর কিডনি চুরি করেছেন।
বিবিসি জানায়, রোববার (১ অক্টোবর) পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোর থেকে তাদের গ্র্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফাওয়াদ মুখতার জানিয়েছেন, তার নেতৃত্বাধীন একটি চক্র এখন পর্যন্ত মোট ৩২৮ রোগীর দেহ থেকে কিডনি চুরি করেছে। চুরি করা এসব কিডনি দেশের বিভিন্ন ধনি খরিদ্দারদের কাছে বিক্রি করা হতো । এসব কিডনির প্রতিটি বিক্রি হয়েছে ১ কোটি রুপি করে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, অসাধু এ চক্রটির কার্যক্রম ছিল পাঞ্জাব থেকে পাকিস্তান অধিকৃত আজাদ কাশ্মির পর্যন্ত। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা করানো বা অস্ত্রোপচারের সামর্থ্য নেই এমন রোগীদের টার্গেট করত চক্রটি। তারপর নামমাত্র অর্থে অস্ত্রোপচারের লোভ দেখিয়ে এ রোগীদের নিয়ে আসা হতো।
লাহোর ও অন্যান্য শহরের বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবনকে ক্লিনিক আকারে সাজানো হতো। সেসব ‘ক্লিনিকে’ অস্ত্রোপচার করা হতো রোগীদের। ফাওয়াদ মুখতার নিজে এসব অপারেশন করতেন; আর এসব অপারেশনের সময় তার প্রধান সহকারী ছিলেন একজন মোটর মেকানিক। অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে এ পর্যন্ত তিন জন রোগী প্রাণ হারিয়েছেন।
রোববার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান পাঞ্জাবের মুখ্য পুলিশ কর্মকর্তা ইনাম গানি জানিয়েছেন, এই চক্র প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ২০১৯ সালে। তার পর থেকে এই চক্রটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রোগীর দেহ থেকে কিডনি চুরি করে বিক্রি করে আসছে।
পাকিস্তানে কিডনি চুরি ও বিক্রি একটি বড় সমস্যা। প্রতি বছর হাজার হাজার রোগীর কিডনি চুরি হয় এবং বিক্রি করা হয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য পাকিস্তান সরকার বিভিন্ন উপায় চেষ্টা করছে।