সর্বশেষ:

পাইকগাছা বিদ্যালয়ের ছাত্রকে

পাইকগাছা বিদ্যালয়ের ছাত্রকে শারীরিক নির্যাতন, তদন্ত কমিটি গঠন

পাইকগাছা বিদ্যালয়ের ছাত্রকে
Facebook
Twitter
LinkedIn

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ->>
পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর অভিভাবক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন পূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড সরল গ্রামের সহকারী অধ্যাপক মসিউর রহমানের ছেলে ফাতিন নুর জিসান পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী। ওই বিদ্যালয়ে তার রোল নং ২। শিক্ষার্থী জিসান জ¦রে ১০ দিন অসুস্থ্য থাকার পর রোববার স্কুলে যায়। এদিন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইদ্রিস আলী টিফিনের পর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান এবং ইসলাম শিক্ষা পাঠদানের সময় শিক্ষার্থী জিসানকে চড়, থাপ্পড় ও এলোপাতাড়ি মারপিট করে ফোলা জখম করে। এ সময় শিক্ষার্থী শিক্ষককে পায়ে ধরে আর্তনাথ করে মারতে নিষেধ করার পরও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক হাতের স্টিলের ঘড়ি দিয়ে শিক্ষার্থীর পিঠে স্বজরে আঘাত করে। পরে শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করায়। উল্লেখ্য, শিক্ষক ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে এর আগেও তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মারপিট করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

কয়েক বছর আগে আশরাফুল নামের এক শিক্ষার্থীর চড়, থাপ্পড় দিয়ে কানের তালা ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী জিসানের পিতা মসিউর রহমান জানান, শিক্ষক ইদ্রিস আলী ৬ষ্ঠ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় আমার পুত্রের ইসলাম শিক্ষার নম্বর কম দেয়। পরে আমার পুত্র খাতা কল করলে তার প্রাপ্ত নম্বর বেড়ে যায়। সেখান থেকে আমার ছেলে জিসানকে শিক্ষক ইদ্রিস আলী সহ্য করতে পারেনা। কারণে অকারণে তিনি বিভিন্ন সময়ে আমার পুত্রের সাথে দুব্যবহার করে আসছে। সর্বশেষ রোববার মারপিট করে ফোলা জখম করায় তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি।

এ ব্যাপারে মারপিটের কথা আংশিক স্বীকার করেছেন শিক্ষক ইদ্রিস আলী। প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন পেশ করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তদন্ত কমিটির প্রধান শহিদুল ইসলাম। এদিকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ইদ্রিস আলীর বদলী সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী অভিভাবকরা।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana