পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাস কক্ষে অগ্নিসংযোগ করেছে দুষ্কৃতিকারীরা। আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত করতে নাশকতার অংশ হিসেবে দুর্বৃত্তরা বুধবার ভোররাতে এ অগ্নিসংযোগ করে। এতে এজলাস কক্ষের সোফা সহ অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে গিয়ে অনেকটাই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে পুলিশ ও প্রশাসন জানিয়েছে।
ডিসি এসপি সহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। থানা পুলিশ ও স্থানীয় আইনজীবীরা জানান পাইকগাছা আদালতের দুই পাশে দুই ধরনের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। ভবনের পূর্ব পাশে রয়েছে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত এবং পশ্চিম পাশে রয়েছে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাস কক্ষের সামনে জানালার একটি গ্লাস ভাঙ্গা রয়েছে। দুস্কৃতিকারীরা বুধবার ভোররাতের দিকে জানালার ওই ফাঁকা জায়গা দিয়ে পেট্রোল জাতীয় পদার্থ দিয়ে কক্ষের ভিতরে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। পরে উপজেলা মডেল মসজিদের মুসল্লীরা ফজরের নামাজ পড়ে ফিরে যাওয়ার সময় আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে।
এরপর বিষয়টি আদালত কতৃপক্ষের নজরে আসলে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ খবর জানতে পেরে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ডি সার্কেল সাইফুল ইসলাম, ওসি ওবাইদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি আরিফুজ্জামান ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু।
এরপরই খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাঈদুর রহমান বিপিএম সহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাঈদুর রহমান বলেন বিজ্ঞ আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত করতে নাশকতাকারীরাই এ অগ্নিসংযোগ করেছে বলে প্রাথমিক ধারণা করছি।আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন বলেন এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে এ জন্য আমরা শক্তভাবে নজর রাখবো পাশাপাশি খুব শক্তিশালী ভাবে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।