এস,এম,আলাউদ্দিন সোহাগ,পাইকগাছা (খুলনা)
পাইকগাছার নদ-নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন এলাকার ওয়াপদার ভেড়ি বাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। কোথাও বাঁধ ভেঙ্গে আবার কোথাও বাঁধ উপচে নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে বোয়ালিয়া জেলে পল্লী সহ বিভিন্ন এলাকার নিজের ও ফসলি জমি। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন জানান।
শনিবার দুপুরে পূর্ণিমার প্রভাবে এলাকার শিবসা ও কপোতাক্ষ নদ সহ উপজেলার নদ নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পায়। এর ফলে গদাইপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়ার বাঁধ ভেঙে ও উপচে জেলে পল্লীর সব ঘর বাড়ি সম্পূর্ণ নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। বাঁধ উপচে পৌর বাজারের কাঁকড়া মার্কেট, চিংড়ি বিপণন মার্কেট, মাছ বাজার, ফল বাজার ও সবজি বাজারে পানি উঠে যায়। এছাড়া হরিঢালী ইউনিয়নের হরিদাস কাটী, সোনাতন কাটী ও মাহমুদ কাটী, রাড়ুলী ইউনিয়নের রাড়ুলী জেলে পল্লী, লস্কর ইউনিয়নের আলমতলা সহ বিভিন্ন এলাকার ওয়াপদার বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
এসব এলাকার অনেকগুলো স্থান অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার মানুষ। এছাড়া পোল্ডারের বাইরের অনেক চিংড়ী ঘের তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ঘের মালিকরা। এদিকে খবর শুনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু। এ সময় ইউএনও মুহাম্মদ আল-আমিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বর্ণনা দিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
যেসব এলাকার টেন্ডার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত রয়েছে সেখানে দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দেন। এছাড়া স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাগিদ দেন। ক্ষতিগ্রস্তের সাথে কথা বলে তাদেরকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। এসময় গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া ও হরিঢালীর প্যানেল চেয়ারম্যান শংকর বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।