এস,এম,আলাউদ্দিন সোহাগ: পাইকগাছা
এটা কোন ছোট নদী বা খাল নয়। একটা গ্রামের ব্যস্ততম সড়ক। যা পাকা করণের জন্য মাটি কেটে দুধারে রাখায় জলবদ্ধতার কারণে খালের রুপ ধারণ করেছে। যা সর্বসাধারণের ভোগান্তির অন্যতম কারণে হয়ে পড়েছে। রাস্তার মাঝে মাঝে বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানিয় লোকেরা চলাচল করছে।
সব থেকে বড় বিপদের পড়েছে ১৩ নং হাড়িয়া খাসমহল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বই-খাতা নিয়ে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় বাঁশের সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। খুলনার পাইকগাছার লতা ইউনিয়নের মধ্যকার একমাত্র চলাচলে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। ৭ মাস আগে সড়কটি পাকা করার জন্য মাটি কেটে দুধারে রাখা হয়। ফলে মাঝখানে বিশাল খালের রুপ নিয়েছে।
হাড়িয়া ব্রীজ হতে শচিয়ারবন্ধ পর্যন্ত ১১’শ মিটার সড়কের এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের পাশ্ববর্তী রয়েছে অনেকগুলো চিংড়ি ঘের। ঘের ও বৃষ্টির পানিতে সড়কটি পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়কটিতে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে স্থানীয় শচিয়ারবন্ধ, শংকরদানা,হাড়িয়া,তেঁতুলতলা ও হানিয়ারবাদ পাঁচটি গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সার্বজনীন মন্দিরে দুর্গোসৎবের আয়োজন করলেও সড়কের দুরাবস্থার কারণে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মঙ্গল চন্দ্র মন্ডল। উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ আছে।