সর্বশেষ:

হোগলার চক

পাইকগাছায় কুমখালী, হোগলার চক, বাইনবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

হোগলার চক
Facebook
Twitter
LinkedIn

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি

খুলনার পাইকগাছার গড়ইখালী ইউনিয়নের কুমখালী, হোগলার চক, বাইনবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ বাতিল, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার সকালে বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসী এ কর্মসূচির আয়োজন করে। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা কর্মী পদে দুই কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। এ নিয়োগে অর্থ বাণিজ্য সহ সভাপতির ছেলেকে নিয়োগ সাপেক্ষ স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে নিয়োগ বাতিল ও সভাপতি তুষার কান্তি মন্ডল এবং প্রধান শিক্ষক বিজন বিহারী মন্ডলের অপসারণের দাবি জানান।

প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মানস কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেতা বিএম শফি, ইউপি সদস্য আয়ুব আলী সরদার, অধ্যাপক প্রদীপ কুমার, শিক্ষক তাপস কুমার সানা, লক্ষীকান্ত সানা, উজ্জ্বল সানা, কৌশিক মন্ডল, প্রশান্ত মন্ডল, সুভাষ মন্ডল, কালিপদ সরদার, লক্ষীকান্ত সরদার, আব্বাস মোড়ল।

কর্মসূচিতে নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থী প্রীতম সানা, হিমাংশু ঢালী ও সৌরভ কবিরাজ অভিযোগ করেন জেলা প্রশাসকের কথা বলে প্রধান শিক্ষক তাদের সকলের কাছ থেকে নিয়োগ পরীক্ষার চিঠি কৌশল করে নিয়ে নেয়। এমন অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক বিজন বিহারী মন্ডল বলেন সরকারি বিধি অনুসরণ করেই অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন ২৭-০৯-২০২৩ তারিখে দৈনিক জনকণ্ঠ ও দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়।এরপর অফিস সহায়ক পদে ৯ জন এবং নিরাপত্তা কর্মী পদে ১১জন প্রার্থী আবেদন করেন। ২৪-১১-২০২৩ পরীক্ষার দিন ধার্য করে ১৭-১১-২০২৩ তারিখ প্রার্থীদের চিঠি দেওয়া হয়।

পরীক্ষায় অফিস সহায়ক পদে ৫জন এবং নিরাপত্তা কর্মী পদে ৪জন অংশ গ্রহণ করেন। নিয়োগ পরীক্ষা বোর্ডের মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অফিস সহায়ক পদে মলয় মন্ডল এবং নিরাপত্তা কর্মী পদে হিরন্ময় মন্ডল কে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ পাওয়ার পর ২৯-১১-২০২৩ তারিখ তারা যোগদান করেন এবং মার্চ-২০২৪ তাদের এমপিও হয়। ইতোমধ্যে তারা এক মাসের বেতন হয়েছে উল্লেখ করে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তুষার কান্তি মন্ডল বলেন আমার ছেলে প্রার্থী থাকার কারণে আমি নিয়োগ পরীক্ষা বোর্ডে ছিলাম না, তবে যারা এ নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ করছেন তা মোটেও সঠিক নয়।

সব প্রার্থী কে এক সঙ্গে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং তাদের সকলের প্রাপ্তি স্বীকার স্বাক্ষর রয়েছে। এখানে স্বজনপ্রীতি ও অর্থ বাণিজ্য হয়নি বলে দাবি করেন সভাপতি তুষার কান্তি মন্ডল।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana