পাইকগাছা ( খুলনা ) প্রতিনিধি
খুলনার পাইকগাছায় আগুন লেগে দুটি প্রতিষ্ঠান ( ফার্নিচার ঘরে থাকা তক্তা,সাইজ কাঠ,ও একটি আবাসিক বাড়ির কাঠের ঘর) পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। এতে ফার্নিচার দুটির মালিকের অন্তত ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং আবাসিক বাড়ির কাঠ ঘর পুড়ে একলাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পাইকগাছা পৌরসভারস্থ জনতা ব্যাংকের পিছনে দুটি ফার্নিচাররের ঘর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন আগুন দেখতে পেয়ে চেঁচামেচি করে এতে লোকজন জড়ো হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হন। কিভাবে আগুনের সুত্রপাত ঘটেছে তা জানা যায়নি। এলাকাবাসী আশাশুনি (সাতক্ষীরা) ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে অবহিত করেন কিন্তু পাইকগাছা উপজেলা থেকে পার্শ্ববর্তী উপজেলার দূরত্ব ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার হওয়া সেখান থেকে আসতে আসতে দুটি ফার্নিচার ঘর ও একটি আবাসিক বাড়ির কাঠের ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়।
জয় মা ফার্নিচার এর মালিক প্রকাশ বাছাড় তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমার ফার্নিচার ঘরের কোনদানি,জালিকাটা মেশিন মটর,রোডার, গ্রান্ডিং, ডিল মেশিন এবং ফার্নিচার দরজা-জানালা, শোকেজ, ওয়ারড্রব, সোফা,মিটসেফ, বসার আসন, আলমারি, মেহগনি ,বাদাম,কাঁঠাল,নিম, শিরিষ, কাঠের তক্তা সহ ৩ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
মিজান ফার্নিচার এর মালিক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন আমার ঘরে অনেক টাকার সাইজ তক্তা,কাঠ ও মেশিন ছিলো যার মূল্য আনুমানিক ১ লক্ষ টাকার অধিক যা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আবাসিক বাড়ির মালিক রেজাউল হক জানান, আমার একটি কাঠের ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে সেখানে এক লাখ টাকার বেশী মালামাল পুড়ে গেছে। আমার ছাদ করার জন্য তক্তা কাটানো ছিলো আবার হাঁস মুরগী সহ অনেক কিছু ছিলো তাতে এক লাখ টাকার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
সাতক্ষীরার আশাশুনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম মোড়ল বলেন, আমরা রাত ২টা১০মিনিটে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। রাত ৪ টার সময় পুরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওবাইদুর রহমান ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।