আজিজুর রহমান,ডেস্ক রিপোর্ট :
বাংলাদেশ নামের এই ভুখণ্ডে নানা ধর্ম, সংস্কৃতি ও ভাষার মানুষ রয়েছে। আবহমানকাল থেকে তারা যার যার ধর্ম ও সংস্কৃতি পালন করে আসছে,কিন্তু এক সময় সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছিলো একটি স্বার্থন্বেষী মহল। পরবর্তীতে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গঠন করেন এ দেশের মানুষ।
স্বাধীন অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হলেও আজও বসে নেই ওই মহলটি। তারাই আমাদের এই ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার অপচেষ্ট চালাচ্ছে। তারা শুধুমাত্র ধর্মীয় সম্প্রীতি ধ্বংস করা নয়, নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করে দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়। এই অপশক্তির বিরুদ্ধ রুখে দাঁড়াতে হবে এবং যারা ধর্মের অপব্যাখ্যা দেয় তাদের প্রতিহত করতে হবে।
বুধবার (১৬ আগষ্ট) দিনব্যাপী ময়মনসিংহ বিভাগে অনুষ্ঠিত নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তীতে ধর্মীয় সম্প্রীতি সুরক্ষায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। আসপাডা প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এই সংলাপের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রুরাল অ্যান্ড আরবান পুওর্স পার্টনার ফর সোস্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (রূপসা)। এতে সহায়তা করে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনিস্টিটিউট (আইআরআই)।
রূপসা’র নির্বাহী পরিচালক হিরণ্ময় মণ্ডলের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আইআরআই’র রেসিডেন্ট প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ক্রেগ হ্যালস্টেড।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আইআরআই’র সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ। এসময় রাজনীতিবিদ, ধর্মীয়নেতা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন। রূপসা দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে এই সংলাপের আয়োজন করছে। ইতিমধ্যে খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেটে এ ধরনের সভা করছে।
সংলাপে প্যানেল আলোচক ছিলেন, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন গোরস্থান জামে মসজিদের খতিব ক্বারী হযরত মাওলানা মুফতি জাহাঙ্গীর আলম সালমানী, ময়মনসিংহ মহানগর ব্রাহ্মণ সংঘের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কেশব চক্রবর্তী, সেন্ট জোসেফ অ্যান্টনি চার্জের খ্রীষ্টান পুরোহিত ফাদার নরবার্ট, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি উত্তম চক্রবর্তী রকেট।
মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট এমএ হান্নান খান, বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি তপন সাহা চৌধুরী, মহানগর সুশানের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক আলী ইউসুফ, সাংবাদিক নেয়ামুল কবির সজল, সিস্টার তেরেজা গমেজ, উন্নয়নকর্মী শাহাদাৎ সরোয়ার, রজন বীন, শিক্ষিকা রিতা মীর, গারো সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি সুর্বণা পলি, আদিবাসি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বিলন রুঘা, ইমাম মুফতি মনির হোসাইন, শিক্ষার্থী সনিয়া আক্তার প্রমুখ।