এইচ,এম,সাগর (হিরামন) :
বটিয়াঘাটা উপজেলার ভান্ডারকোট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো : ওবায়দুল্লাহ শেখ ওবায়দুলার বিরুদ্ধে (জিআর) ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রানের চাউল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে । উপজেলার ভান্ডারকোট ইউনিয়নের (জিআর) ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ত্রানের চাউল ৪৫০ পরিবারের জনপ্রতি ২০ কেজি করে ৩০ কেজি ওজনের ৩০০ বস্তা চাউল গত ১৯-০৮-২৪ ইং তারিখে বটিয়াঘাটা উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে নেওয়ার কথা। কিন্তু চেয়ারম্যান ওবায়দুল্লাহ শেখ এর নির্দেশে প্যানেল চেয়ারম্যান মোফাজ্জেল শেখ ২নং ওয়ার্ড মেম্বার ইউনিয়ন পরিষদ গোডাউনে ২৩৩ বস্তা চাউল নিয়ে যায়।
অভিযোগের সূত্র ধরে ২১ আগস্ট ২৪ তারিখ সাড়ে এগারোটার দিকে ট্রাক অফিসার আশিক বিন আজাদ (সহকারী ইন্সপেক্টর উপজেলা রিসোর্স সেন্টার) চাউল বিতরণের পূর্বে চাউল বুঝে না নিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ১৯ কেজি ৫শত গ্রাম করে চাউল বিতরণ শুরু করেন। এলাকাবাসী জানতে পেরে চাউল বিতরণ বন্ধ করে দেয়। এলাকার লোকজন গোডাউনের ভিতর ঢুকে চালের বস্তা গুনে ৬৭ বস্তা চাউল কম পেয়ে স্থানীয় লোকজন চেয়ারম্যানের উপর ক্ষিপ্ত হয়।
তখন চেয়ারম্যান বলেন, ৬৭ বস্তা চাউল কম এসেছে। আমি প্যানেল চেয়ারম্যানকে দিয়ে ৬৭ বস্তা চাউল নিয়ে আসতেছি। প্যানেল চেয়ারম্যান মোফাজ্জেল শেখকে দিয়ে বটিয়াঘাটা খাদ্য গোডাউন থেকে পিকআপ যোগে বাকি ৬৭ বস্তা চাউল ভান্ডারকোট ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়। ভান্ডারকোট ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রাজিবুল ইসলাম, বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি ক্রমে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ২০ কেজি করে চাউল বিতরণ শুরু করেন। সংবাদ পেয়ে বটিয়াঘাটায় অবস্থানরত সেনাবাহিনীর টহল টিম ভান্ডারকোট ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যান এবং ট্যাগ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক করে বিকালে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিপন কুমার সরকার বলেন,উপজেলার নোয়ালতলা এলাকায় মারামারি মামলার অভিযোগে তাকে আটক দেখানো হয়েছে। মামলা নং ৩। মামলায় চেয়ারম্যান সহ ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যানকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।