ডেস্ক রিপোর্ট :
ঢাকায় স্পট ধরে ধরে ট্রাফিক সমস্যা সমাধান করবো বলে জানিয়েছেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার হাবিবুর রহমান। সোমবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের প্রধান সমস্যা নিঃসন্দেহে ট্রাফিক। ক্রমবর্ধমান গাড়ির চাপ, রাস্তার স্বল্পতা এবং জনসংখ্যার চাপে ট্রাফিক কমানো যাচ্ছে না। আমাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে তা প্রয়োগ করতে চাই। বাসগুলো রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকে। এটি সচেতন করতে হবে। এজন্য চালকদের ট্রেনিং দেওয়া হবে, তাদের নিয়ে কর্মশালা করা হবে। যাতে তারা এই কাজ না করেন।
তিনি বলেন, পথচারী পারাপারের সময় অনেক গাড়ি স্লো হয়ে যানজট সৃষ্টি হয়। অনেক সময় রাস্তার মাঝ দিয়ে নারী-শিশু দৌড়ে পার হয়। আমি ডিএমপি কমিশনার হিসেবে যোগদান করার পর প্রথমেই মিটিং করেছি ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে। ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে সবার সহযোগিতা চাই।
বিশ্বের সব উন্নত শহরে ট্রাফিক বাতি রয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলাপ হয়েছে এবং কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন হয়েছে। খুব অল্পদিনের ভেতরে আমরা ট্রাফিক বাতি চালু করবো। যাতে সিগন্যাল বাতি অনুযায়ী ট্রাফিক কার্যক্রম করা যায়। ঢাকা শহরে যে ট্রাফিক সমস্যা তা ট্রাফিক পুলিশের একার পক্ষে সমাধান সম্ভব নয়। ঢাকা শহরে কিছু উন্নয়নকাজ চলছে। এই উন্নয়নকাজ শেষ হলে অনেকাংশেই কমে যাবে ট্রাফিক সমস্যা। আগে কেউ চিন্তা করতে পারতো না বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট ১০ মিনিটে আসতে পারবে। এখন তা সম্ভব হচ্ছে।
হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ট্রাফিক পুলিশকে যে পরিমাণ কষ্ট করে রোদের মধ্যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়, রমজান মাসেও তারা রাস্তায় হেঁটে হেঁটে ইফতার করেন। সেই বাস্তবতাও রয়েছে। খুব অল্পদিনের মধ্যে বাতির মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করা হবে।
মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়ের যানজটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, স্পট ধরে ধরে সমাধান করা হবে। মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড় এখনই ট্রাফিকের এডিশনাল কমিশনারকে বলবো জায়গাটা টুকে রাখতে। আজ বিকেলে ওই জায়গা এডিসি-এসি ভিজিট করবেন এবং রিপোর্ট দেবেন। সেখানে কি কি সমস্যা রয়েছে। আগামীকাল থেকে এর সমাধান আমি চাই।