তুষার কবিরাজ,ডুমুরিয়া ->>
ডুমুরিয়ায় কুচক্রী মহল কতৃক স্লুইসগেটের কপাট খুলে লোনা পানি ভিতরে প্রবেশ করার কারণে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মুহর্তের মধ্যে হু-হু করে পানি ভিতরে ঢুকে তলিয়ে গেছে ৬ টি গ্রামের ৭ টি বিলের রোপা আমন ধানের বীজ তলা, মৎস্য ঘের,রাস্তাঘাট,বসত বাড়িঘর শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
শনিবার বিকেলে জোয়ারের সময় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালি ইউনিয়নের বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৭/১ নম্বর পোল্ডারের হাতিটানা স্লুইসগেটের কপাট খুলে দেয় এলাকার একটি স্বার্থন্বেষী মহল।
ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, খোরের আবাদ এলাকার অনন্ত মন্ডলের ছেলে ভু-দেব মন্ডল ও ঝরঝরিয়া এলাকার জগদিশ সানার ছেলে বিজন মন্ডলসহ ৬/৭ জন ব্যাক্তি তারা হাতিটানা নদী থেকে অবৈধ ভাবে মাছ শিকার করার লক্ষ্যে স্থানীয়দের অজান্তে শনিবার বিকেলের দিকে জোয়ার সময় স্লুইস গেইটের কপাট খুলে দেয়।
এর ফলে প্রবল জোয়ারের পানির তোড়ে হাতিটানা নদ অভ্যান্তরে – ঝরঝরিয়া, চিত্রামারি,হোগলা বুনিয়া,শুকরমারি ও বায়লাহারাসহ ৬ টি গ্রামের ৭ টি বিলের মধ্যে অবস্থিত দেড় শতাধিক ছোট-বড় মাছের ঘের,গ্রাম্য রাস্তাঘাট,বসত বাড়িঘর,শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিস্তৃর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে প্লাবিত হয়।
স্থানীয় অমল সানা, মিল্টন মেম্বর, দিবাশীষ মন্ডল,অনিমেশ সরকার,দীপংকর বাইন,ভবেন্দ্র নাথ বাইন, পবিত্র মন্ডল, রবেন মন্ডল,বিমল মন্ডল,পরিতোষ সানা,সুকুমার মন্ডল,শংকর বৈরাগী, কালিপদ বৈদ্য,পঙ্কজ বৈরাগী, দীনেশ মন্ডল,সুনীল মন্ডল,প্রভাষ বিশ্বাস,প্রশান্ত মন্ডল,কি কিরণ মন্ডলসহ দেড় শত মানুষের মাছের ঘের নদীর পানির সাথে মিশে একাকার হয়ে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
মানুষের মাঝে নেমে আসে ভয়াবহ বিপর্যয়। তবে ঘটনার পর থেকে ভু দেব মন্ডলের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকার কথা তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ প্রসংগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান বলেন,ঘটনার সাথে জড়িতদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িত চক্রান্তকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।