ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি ->>
খুলনার ডুমুরিয়ায় প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দেয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনদের শারীরিক নির্যাতনে পঙ্গুত্ববরণ করতে চলেছেন ডুমুরিয়া উপজেলা নরনিয়া গ্রামের আশরাফ মোড়লের ছেলে হতদরিদ্র মুজাহিদ হোসেন মোড়ল (৪০)। সোমবার দুপুরে মা জুলেখা বেগমের কোলে চড়ে ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে তার নির্যাতনের কথা শুয়ে শুয়ে কাতর কণ্ঠে বলেন। এসময় তার পিতা আশরাফ মোড়ল, ছোটভাই সাহেদ মোড়ল, প্রতিবেশী হাফিজুর গাজী উপস্থিত ছিলেন ।
স্নাতক পাস মুজাহিদুল ইসলাম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২০১০ খ্রীঃ তিনি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার বসুন্দিয়া গ্রামের মাহমুদ গাজীর মেয়ে আসমা খাতুনের সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। প্রায় ৮ বছর বিবাহ জীবন অতিবাহিত করার পরও তার কোন সন্তান হয়নি। এরপর ডুমুরিয়া উপজেলার গোগ রোস্তমপুর গ্রামের হালিম মোল্লার মেয়ে মারিয়া খাতুনের (২২)সাথে প্রেমে পড়ি। একপর্যায়ে গত ২০১৮ খ্রীঃ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিবাহের পর দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনরা আমাকে প্রায়ই প্রথম স্ত্রী কে তালাক দিতে চাপ দিতেন।
তাদের কথায় সম্মতি না দেয়ায় গত ২০২১ খ্রীঃ ২৫ মে কৌশলে আমাকে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ইসলামকাটি গ্রামের কথিত মামাশ্বশুর আলতাফ হোসেন সরদারের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথম স্ত্রী কে তালাক দেয়ার জন্য চাপ দেয়। আমি সম্মতি না দেয়ায় রাতে লোহার হাতুড়ি দিয়ে সারা শরীরে পিটিয়ে আহত করে । এ সময় জোরপূর্বক কয়েকটি অলিখিত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় । সকালে তালা থানার পুলিশ ডেকে আমাকে প্রতারক বলে তাদের কাছে সোপর্দ করে।
এরপর থানা পুলিশ আমি ও আমার পিতা সহআরও ২ জনকে একটি প্রতারণার মামলায় আসামি দেখিয়ে সাতক্ষীরা আদালতে সোপর্দ করে। প্রায় ৩মাস পর জামিনে ছাড়া পাই। বাড়ীতে ফিরে দেখি খুলনা মহানগরের সোনাডাঙা থানায় আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যদের নামে আরও ৩টি প্রতারনার মামলা দায়ের করা হয়েছে । ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে টেবিলের উপরে শুয়ে কাতর কন্ঠে আমাদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ যারা তাকে পিটিয়ে পঙ্গুত্ব বানিয়েছে তাদের বিচারের দাবি জানান ।