সাইফুল ইসলাম, ঝিনাইদহ :
ঝিনাইদহে জমিলা খাতুন উজোলা (৪৫) নামের এক গৃহবধুকে গলাকেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে নিজ বাড়ির নলকূপের পাশে তাকে হত্যা করা হয়। এ সময় আব্দুল করিম (৩৬) নামের তার এক প্রতিবেশিও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুত্বর জখম হয়। তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ নিহতের স্বামী শরিফুল ইসলাম ও ছেলে আব্দুল মান্নান এবং প্রতিবেশী জাকির হোসেনকে আটক করেছে। চিকিৎসাধীন আব্দুল করিম যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পরকিয়ার জেরে জামিলা খাতুনের বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল আব্দুল করিমের। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রামে শালিস বৈঠকও হয়। তার পরও থামেনি তাদের সম্পর্ক। পরে শনিবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে গৃহবধূ জমিলা খাতুন ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাইরে যান। একই সময় আব্দুল করিম ওই বাড়িতে আসে। এ সময় কে বা কারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় ও পায়ে কুপিয়ে জমিলা খাতুনকে হত্যা করে এবং আব্দুল করিমকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে নিহতের স্বামী ও ছেলে ঘর থেকে বেরিয়ে টিউবওলের পাশে পড়ে থাকা মৃতদেহ বাড়ির উঠানে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান জানান, একটি হত্যা কান্ডের ঘটনার খবর পেয়ে তারা এসেছেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের গৃহবধূ জমিলা খাতুনের পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল আব্দুল করিমের। সকালে ওই বাড়িতে এসেছিল আব্দুল করিম। এ সময় গলা কেটে ও কুপিয়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। পরকিয়ার জেরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে তারা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন বলে যোগ করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আহত আব্দুল করিম বলেছে আমাদের দুজনকে দেখে জমিলার স্বামী শরিফুল ইসলাম ও প্রতিবেশী জাকির পরে তারা জমিলাকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় আব্দুল করিমকেও কুপিয়ে জখম করে। তবে সঠিক বিষয়টি জানার জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। মৃতদেহের ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।