দর্শন চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার দর্শনা থানা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় আরো দু’জন পালিয়ে যায়।
আটকৃতরা হলো দর্শনা থানাধীন নাস্তিপুর গ্রামের মরহুম হায়দোর আলীর ছেলে ওয়াসিম বিশ্বাস (৩৮), তার স্ত্রী মোছাম্মাৎ রিমা খাতুন (২৭) ও তার মা মোছাম্মাৎ আরবী খাতুন (৫৫)। একই গ্রামের অপর দুই কারবারি শিমুল বিশ্বাসের স্ত্রী মোছাম্মাৎ সোনিয়া (৩০) এবং আনছার আলীর ছেলে আমানত (৩২) পালিয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান (পিএসসি) শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দুপুরের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে বারাদী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ তৈরি রুপার গহনা পাচার করা হচ্ছে।
৬ বিজিবির সহকারী পরিচালক মো: হায়দার আলী, বারাদী বিওপি কমান্ডার নাঃ সুবেদার মো: জাকির হোসেন এবং সুলতানপুর বিওপি কমান্ডার মো: দুলাল হক সঙ্গীয় টহল দল নিয়ে শনিবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সীমান্ত পিলার ৮০/৬-আর থেকে আনুমানিক ২০০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দর্শনা থানাধীন নাস্তিপুর গ্রামের মো: ওয়াসিম বিশ্বাসের বসতবাড়িতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে বিজিবি সশস্ত্র টহল দল ওই ব্যক্তির বাসার ভেতর রক্ষিত ড্রেসিং টেবিলের নিচে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় একটি গামছা দিয়ে বাধা পোটলা উদ্ধার করে। উদ্ধার পোটলার ভেতর থেকে স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ২০টি প্যাকেট থেকে ২৩ কেজি ৪৭০ গ্রাম (২০১২ ভরি) ভারতীয় তৈরি রুপার গহনা জব্দ করে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এ সময় বিজিবি সশস্ত্র টহল দল ওই তিন কারবারিকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় বাকি দু’জন পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নায়েব সুবেদার মো: জাকির হোসেন রুপা চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা করে। এদিকে জব্দ করা রুপার গহনাগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।