খুলনা, ২৮ জুন ২০২৪ — বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, এক সময় খুলনা অঞ্চল সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। তবে বর্তমানে খুলনা শান্তির জনপদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
আজ বুধবার সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে আইজিপি বলেন, “সুন্দরবন কখনো শান্ত সুন্দরবন ছিল না। সুন্দরবন ছিল দস্যুদের অভয়ারণ্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ পুলিশ এ সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত সুন্দরবন ঘোষণা করেছেন। খুলনা এখন শান্তির জনপদ।”
আইজিপি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনসে চার তলা অস্ত্রাগার ভবন, ছয় তলা মাল্টিপারপাস ভবন, ৬০০ কেভিএ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং বড় বয়রা পুলিশ ফাঁড়ি ও মাল্টিপারপাস শেড উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি কেএমপি-তে কর্মরত অফিসারদের সাথে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
আইজিপি আরও বলেন, “জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে আমরা সবাই মিলে একযোগে দায়িত্ব পালন করে দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমান সরকার পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আন্তরিক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী স্মার্ট পুলিশ হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশকে গড়ে তোলা হচ্ছে। আগামী দিনের যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশ সক্ষম।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, “কোনো পুলিশ সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ সবসময় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে থাকে।”
এই অনুষ্ঠানে কেএমপি কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক বিপিএম (বার), পিপিএম, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক বিপিএম (বার), পিপিএম এবং কেএমপি ও খুলনা রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বিকালে বাগেরহাটের রামপালে নৌ পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের একাডেমিক ভবন ও ফায়ারিং বাট অবজারভেশন ভবন উদ্বোধন করেন। তিনি নৌ পুলিশ সদস্যদের বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের জন্য নির্মিত ট্রেনিং সেন্টারের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। এই সময়ে নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মোহাঃ আবদুল আলীম মাহমুদ বিপিএম ও ডিআইজি মোঃ মিজানুর রহমান, কেএমপির পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের নেতৃত্বে খুলনা অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার এই প্রচেষ্টাগুলি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। সরকারের দৃঢ় সংকল্প এবং পুলিশের কঠোর পরিশ্রমের ফলেই খুলনা এখন শান্তির জনপদ হিসেবে উদ্ভাসিত হয়েছে।