খুলনার ডুমুরিয়া অঞ্চলে অভিযানে একটি বৃহত্তর ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যেখানে তুষার কবিরাজ নামের একজন আদালতের প্রধান নির্বাহী অফিসার এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শরীফ আসিফ রহমানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ অভিযানে বিভিন্ন স্থানে অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের নকল কীটনাশক ও কীটনাশক তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে।
ঘটনার বিস্তারিত অনুসারে, বুধবার বিকেলে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলায় অভিযানের সময় নুরুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন আলী গাজীর ভ্যানে ১৯ টি ড্রাম এবং ৪০টি কার্টুনে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার নকল কীটনাশক ঝিকরগাছা উপজেলায় বিক্রির জন্য পাঠানো হয়।
একই সময়ে ভ্যান চালক ইয়াসিন রাজগঞ্জ নামক স্থানে গিয়ে এক পথচারীকে ঝিকরগাছার রাস্তা দেখাতে বলেন, যার নাম ছিল আমিরুল ইসলাম। কিন্তু পথচারী আমিরুল ইসলামই ভ্যানে তাদের কীটনাশক কোম্পানির কাজে নিয়োজিত ছিলেন। সেই সময় তিনি ভ্যান চালকের গতি বাধা দিয়ে ভ্যানের ভিতরে অস্থায়ী রূপে রয়েছে কীটনাশক এনে দেখে।
তারপর তিনি ভ্যান চালকের কাছে জানতে পারেন যে চুকনগরের একটি কীটনাশক কোম্পানি থেকে এই কীটনাশক ঝিকরগাছায় যাওয়া হচ্ছে। সেই সময় তিনি ভ্যানটি আটকে রেখে কীটনাশক গুলো পাটকেলঘাটায় আনেন।
পরবর্তীতে বিষয়টি জানার পর তিনি স্থানীয় লোকজন সঙ্গে চুকনগরে এসে নকল কীটনাশক কোম্পানির সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ প্রকারে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ ঘটনাস্থলে জড়িত থাকার অভিযোগে পেনাল কোড ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারামতে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে উপজেলার নরনিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী মোড়লের ছেলে মাহাবুব রহমান মোড়লকে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ভ্যান চালককে জিজ্ঞাসার জন্য আটক করা হয়েছে।
তাছাড়া নকল সার কোম্পানি মেসার্স জেনারেল এগ্রো এর প্রোঃ এম ডি হেলাল এবং বাড়ির মালিক মাহাবুব রহমান মোড়লের ছেলে রাব্বি মোড়লের নামে নিয়মিত মামলা দায়েরের আদেশ জারি করা হয়েছে। এই সময় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের নকল কীটনাশক ও কীটনাশক তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে।
বিশেষভাবে উপজেলা অফিসার ইনচার্জ সেখ কনি মিয়া বিপিএম ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালিদ হোসেন এই অভিযানে সহযোগিতা করেন।