সর্বশেষ:

খুলনায় বিভাগীয় রোডর্মাচ

খুলনায় বিভাগীয় রোডর্মাচ শেষে সমাবেশ : হাসিনা সরকারের পতন হবেই : র্মিজা আব্বাস

খুলনায় বিভাগীয় রোডর্মাচ
Facebook
Twitter
LinkedIn

খুলনায় বিভাগীয় রোডর্মাচ শেষে সমাবেশ : হাসিনা সরকারের পতন হবেই-কেউ ঠেকাতে পারবে না : র্মিজা আব্বাস
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদ্য র্মিজা আব্বাস বলেছেন, এদেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায় ও ভোটাধিকারের জন্য জেগে উঠেছে। সারা দেশের মানুষ বিএনপিসহ বিরোধী দলের আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে হাসিনা সরকারের পতন হবেই। এটা কেউ ঠেকাতে পারবে না।

সরকারী অফিসার ও পুলিশের যারা হাসিনাকে সহায়তা করছেন তাদেরকে হুশিয়ারী করে তিনি বলেন, এখনও যারা সোজা পথে ও দেমের জনগনের সাথে আসেননি তাদেরকে চিহ্নিত করে রাখা হচ্ছে। পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইনশাল্রাহ একদফার দাবী বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে ও দেশকেও আওয়ামীলীগের রাহুর গ্রাস থেকে মুক্ত করবোই। তিনি আরও বলেন, আমেরিকাসহ ৮০টি দেশের স্যাংকশান খেয়ে সরকারের মন্ত্রীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা বলছেন, স্যাংকশান মানি না র্নিবাচন করবোই। র্মিজা আব্বাস বলেন, র্নিবাচন আমরাও করবো।

অবশ্যই র্নিবাচন হবে। তবে তা হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া অন্য সবক্ষেত্রেই শেখ হাসিনাকে ছাড় দেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটায় খুলনার শিববাড়ি মোড়ে বিভাগীয় রোডর্মাচ শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড, শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বরকতউল্লাহ বুলু, ভাইসচেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, ও শামসুজ্জামান দুদু, খুলনা বিভাঘীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেহেদী হাসান রুমি, বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, শেখ সোহরাব উদ্দিন, আসাদুজ্জামান আসাদ, ডঃ ওবায়দুল ইসলাম, কৃষি বীজ শামীমুর রহমান শামীম, মাহমুদ হাসান খান বাবু, অমলেন্দু দাস অপু,আমিরুজ্জামান খান শিমুল, আবু হোসেন বাবু, মনিরুল হাসান বাপ্পি, আমির এজাজ খান, স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারন সম্পাদক এস.এম.জিলানী, ছাত্রদলের বারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারন সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, কারো রাজত্ব কায়েম করার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। দেশ আজকে হীরক রাজার দেশে পরিণত করেছে। দড়ি ধরে টান মারলেই এই রাজা খান খান হয়ে যাবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভীষণ অসুস্থ উল্লেখ করে তাকে অবিলম্বে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে সরকারের প্রতি আহবান জানান। সমাবেশের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার যদি বিনা চিকিৎসায় মারা যায়, শেখ হাসিনা বেচে থেকে কি বাংলাদেশে থাকতে পারবে। অর্থাৎ এই ১৮কোটি মানুষের বাচার লড়াই। গণতন্ত্রে লড়াই।

মুক্তিযদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন তারেদ রক্তের ঋণ শোধ করা দায়িত্ব। তিনি বলেন, ঝিনাইদহ থেকে খুলনা পর্যন্ত শিশু, কিশোর বৃদ্ধ সবার মুখে একটাই কথা শেখ হাসিনার পতন। খুলনার সমাবেশে আসার সময় বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় বিএনপির নেতাকর্মীদের উপরে হামলা হয়েছে। প্রশাসন দেশের মানুষের সেবক, শাসক না।

একবার ভাবুন দেশটা আমাদের সকলের। আমাদেরই আমাদের দেশকে বাচাতে হবে। দেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। এরআগে খুলনা বিভাগীয় রোড র্মাচ এদিন সকালে ঝিনাইদহ থেকে শুরু হয়ে যশোর, নোয়াপাড়া, ফলতলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে রাত ৯টায় রোডর্মাচ খুলনায় এসে পৌছায়। রোডর্মাচ শেষে খুলনায় সমাপনী সমাবেশ উপলক্ষ্যে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইলসহ আশেপাশের জেলা ও উপজেলা থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতার্কমীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থালে আসে।

বিকেল চারটা থেকে সমাবেশস্থলে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার শিল্পীদের গান শুরু হয়। রাত সাড়ে আটটায় আনুষ্টানিকবাবে সমাবেশের কাজ শুরু হয়। খুলনার রোডমার্চ শেষের সমাবেশে সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও সাবেক সিটি মেয়র মো: মনিরুজ্জামান মনির নেতৃত্বে বিশাল মিছিল সমাবেশ স্থলে ও রোডর্মাচে অংশ নেয়। তবে তাদের কাউকেই সমাবেশের ষ্টেজে ও বক্তৃতা দিতে দেয়া হয়নি। তারা সমাবেশস্থলের পাশে অবস্থান করে পরে সমাবেশ স্থল ত্যাগ করেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana