ডেস্ক রিপোর্ট :
জ্বালানী তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধি বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনার ৩ ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছে ব্যবসায়ীরা। ফলে গতকাল রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা-যমুনা তেল ডিপো থেকে জ্বালানী তেল উত্তোলন বন্ধ ছিল। তবে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের আশ^াসে ধর্মঘট স্থগিত করে জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা।
খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছি। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। আবার গেজেটে প্রচুর ভুল রয়েছে। আর শুধু গেজেট প্রকাশ নয়, দাবির বাস্তবায়ন করতে হবে।
ট্যাংকলরি ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করীম কাবুল বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধির দাবির প্রেক্ষিতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু তা কার্যকর করা হয়নি। রবিবার সকাল থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহণ বন্ধ রাখা হয়। বিকেলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের মার্কেটিং বিভাগের কর্মকর্তার আশ্বাসে ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে গেজেট সংশোধন ও কার্যকর করা হবে বলে তারা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়ম কর্পোরেশনের পরিচালক (বিপণন) ও যুগ্ম-সচিব অনুপম বড়ুয়া বলেন, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে গেজেট সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গেজেট কার্যকরের বিষয়টিও সেখানে উলেখ থাকবে।
ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল, ডিজেলের ২ ভাগ, পেট্রোলের ৩ ভাগ এবং অকটেনের ৪ ভাগ কমিশন বাড়িয়ে সাড়ে ৭ ভাগ করার। একইসঙ্গে তাদের শিল্প থেকে বাদ দিয়ে কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা। এছাড়া পুরাতন ট্যাংক লরি অবসরের সময় ২৫ বছর থেকে বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।