বিশেষ প্রতিনিধি :
আজ ১৩ নভেম্বর খুলনায় আসছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বিকালে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে জনসভা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট চওড়া মঞ্চের ওপরে রয়েছে পদ্মা সেতুর অবয়ব। পদ্মা সেতুর একটি কম্পার্টমেন্ট তৈরি করে সেটিকে নৌকার আকৃতি দেওয়া হয়েছে। নকশাটি ইতোমধ্যেই দলীয় নেতাকর্মী ও নগরীর বাসিন্দাদের উচ্ছ্বসিত করেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৯ নভেম্বর খুলনায় আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু সফরসূচি পরিবর্তন হয়ে প্রথমে ১১ নভেম্বর ও পরে ১৩ নভেম্বর চূড়ান্ত হয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তার ওই জনসভাকে ঘিরে বিশাল শোডাউনের প্রস্তুতি প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সার্কিট হাউজ মাঠে আবাহনী ক্রীড়া চক্রের সামনে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে বিশালাকৃতির মঞ্চ তৈরি, মাঠ তৈরির প্রস্তুতি ও সাজসজ্জার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জনসভাস্থলে আগত নেতাকর্মীদের জন্য সার্কিট হাউজ মাঠে রাখা হয়েছে অসংখ্য ভ্রাম্যমাণ টয়লেট। সার্কিট হাউজের আশপাশের সড়কগুলোতে কার্পেটিং করা হয়েছে। সার্কিট হাউজের চারপাশের ড্রেনের কাভারগুলোর রং করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
দলীয় সূত্র থেকে আরও জানা যায়, মঞ্চ তৈরি, জনসভাস্থল ও জনসভার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনায় এসেছেন এবং তারা জনসভা মাঠ পরিদর্শন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার জন্য গত দুই সপ্তাহ ধরে খুলনা মহানগর, জেলা, থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মূল দলের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনগুলো প্রস্তুতি সভা, বর্ধিত সভা ও কর্মীসভা করছে।
খুলনা অঞ্চলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অভিভাবক হিসেবে পরিচিত প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি নিজে উপস্থিত থেকে প্রস্তুতি তদারকি করেছেন।