খুলনা অফিস ->>
এবার আলোচনার শীর্ষে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ৩৫ ইউনিটের বিল করা হয়েছে ৩ হাজার ৪৩৯ টাকা। বিটার হচ্ছে আবাসিক। অন্যান্য বিবিধ খাতসহ মোট পরিশোধিত বিলের মূল্য ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯৪৭ টাকা। সময় বেধে দিয়েছে,নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হবে। ঘটনাটি ঘটেছে,বটিয়াঘাটা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের বিরাট গ্রামের মোঃ জাহিদুর রহমান নামের জনৈক এক বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিলে। উক্ত বিদ্যুৎ গ্রাহকের পুত্র মোঃ আরিফুজ্জামান দুলু গোলদার বলেন,গত বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ অফিসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজ টি হাতে পেয়েই দেখি এই আবস্থা।
আমার পিতার নামে মিটার। হিসাব নং- ০১-২৮৫-১৮০০, মিটার হচ্ছে আবাসিক। ৩৫ ইউনিট বিদ্যুৎ বিলের খরচ ধরা হয়েছে ৩৪৩৯ টাকা। অন্যান্য খরচসহ জমা দিতে হবে ৩৯০৪৭ টাকা। তিনি আরো বলেন,আমি অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে তারা বলেন,ভাই দেখেন আপনি হয়তো বা গতমাসে বেশি খরচ করেছে বিদ্যুৎ। তাই এতো টাকা আইছে। দরকার হলে আমাদের অফিসে একটি আবেদন করেন। তার পর দেখি কি করা যায়। তখন আমি বলি অভিযোগ দিতে হলে আপনাদের নিকট কেন? আদালতে অভিযোগ দিব বলার সাথে সাথে কলটি কেটে দিলেন তিনি।
এধরনের প্রকাশ্যে মানুষিক হুমকি দিয়ে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিভিন্ন গ্রাহকদের প্রতারনার ফাদে ফেলে ও ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। গ্রাম অঞ্চলের সাধারণ পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা এদের ভয় মুখ খুলতে বা প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। প্রতিবাদ করলে তাদেরকে বিভিন্ন মামলা হামলার ভয় দেখানো হয়।
এভাবে প্রতিনিয়ত খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। গ্রাহকদের অভিযোগ,তাদের এই সমস্যা কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা বলেন,অফিসে এসে দরখাস্ত করতে হবে। পাশাপাশি দরখাস্ত বাবদ কিছু ফি ফা জমা দিতে হবে। তারপর তদন্ত করে দেখেশুনে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় এরই মধ্যে দ্বিতীয় মাসের বিদ্যুৎ বিল উক্ত বিদ্যুৎ বিলের সাথে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু গ্রাহকের সমস্যা সমাধান করা হয়। তারা আরো বলেন, দেখেন আপনি হয়তোবা গত মাসে বিদ্যুৎ বেশি খরচ করেছেন। এসব বলে নানাভাবে হয়রানি করা হয় সাধারণ গ্রাহকের বিরুদ্ধে।
খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি'র জিএম মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন,সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের মিটার পরিবর্তন হওয়ায় পূর্বের মিটারের রিডিং যোগ করার কারনে ৪৭১ ইউনিট হয়েছে।নিয়ম অনুযায়ী মিটার রিডিং অনুসারে গ্রাহকের বিল করা হয়েছে,ফলে হয়রানী করা হয় নাই।গ্রাহক বিষয়টি জানা সত্ত্বেও বিভ্রান্তির আশ্রয় নিয়েছে।